নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫ ২১:০৫ পিএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫ ২১:২৬ পিএম
মাহমুদ হোসেন জিসান।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চাঁদা দিতে দেরি করায় মাহমুদ হোসেন জিসান নামের এক নিরীহ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ও পরিবারের দাবি, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ইশারায় পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী জিসান বসুরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আইনজীবী হাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ও চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। আগামী ২৬ জুন থেকে তার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
জিসানের মা মাকসুদা আক্তার হ্যাপি বলেন, ‘আমার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল কেনার টাকা দিতে গিয়েছিল। এ সময় একদল লোক তাকে ডেকে নিয়ে দেড় লাখ টাকা দাবি করে এবং হুমকি দেয়, টাকা না দিলে মাদক মামলায় পুলিশে দেবে। আমি চেষ্টা করছিলাম টাকা জোগাড় করতে, এর মধ্যে জানতে পারি ৫০ পিস ইয়াবাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে আমার ছেলের নামও রয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। আমার ছেলের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিসানের এক বন্ধু বলেন, ঘটনার সময় আমি নিজেও সেখানে ছিলাম। তিনজন প্রকৃত মাদক কারবারিকে আটকের পর জিসানকে বাড়ির সামনে থেকে ডেকে দ্বিতীয় তলায় নেওয়া হয় এবং তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা দিতে দেরি করায় তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। জিসান কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তার বন্ধুরা ছাত্রদল করলেও পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থক। এই ঘটনা নিছকই প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, শুধু চাঁদা দিতে না পারায় একজন নিরপরাধ ছাত্রের জীবনে এমন কালো অধ্যায় নেমে এলো। যারা এটি করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ‘স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৫০ পিস ইয়াবাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থী জিসানও রয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে।’