বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫ ২১:০০ পিএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫ ২১:২০ পিএম
বগুড়ার শাজাহানপুরে সংঘটিত দস্যুতার ঘটনায় পলাতক আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টায় আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ নিয়ে মামলার তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানে ছিনতাই হওয়া একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার ভুক্তভোগী মো. শফিকুল ইসলাম রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার সুলতানাবাদ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা এবং বর্তমানে বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ফুলতলায় বসবাস করেন। তিনি ট্রান্সকম কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও পেপসিকো বগুড়া শাখায় প্লান্ট এইচআর, অ্যাডমিন ও সিকিউরিটি প্রধান হিসেবে কর্মরত।
ভুক্তভোগীর ভাষ্য অনুযায়ী, গত ২১ এপ্রিল দুপুরে অফিসে যাওয়ার সময় বগুড়া শহরের চকোরগাড়ী ঈদগাহ সংলগ্ন অর্ধপাকা রাস্তায় পৌঁছলে তিন দুষ্কৃতকারী তার পথরোধ করে। ছুরি দেখিয়ে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে সঙ্গে থাকা ১২ হাজার ৫০০ টাকা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরদিন তিনি শাজাহানপুর থানায় একটি দস্যুতা মামলা (ধারা ৩৯৪, মামলা নম্বর : ৪৯) দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে ২২ এপ্রিল পাসপোর্ট অফিস এলাকা থেকে প্রধান আসামি মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে কনককে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। এরপর ১৪ মে দ্বিতীয় আসামি মো. রমজান ব্যাপারীকে সদর উপজেলার মালগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সান্তাহার এলাকা থেকে পলাতক আহম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত দস্যুতা। ইতোমধ্যে মামলার তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।