রাজবাড়ী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫ ১৬:৫৫ পিএম
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে বাড়ি ফিরছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তিতে ঘাট পার হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষ ও যানবাহনগুলো।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘাটে যাত্রীদের ভিড় দেখা দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রত্যেকটি ফেরি ও লঞ্চগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীরা দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ও লঞ্চঘাটে নেমে বাস, ত্রি-হুইলার, মাহেন্দ্র ও মোটরসাইকেলে চড়ে তাদের গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। এদিকে ঘাটে যানজট না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলো সরাসরি ফেরিতে ঢাকায় চলে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, আনসার, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন।
ঢাকা থেকে আসা পাংশাগামী মোটরসাইকেল আরোহী সজল মন্ডল বলেন, সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সাড়ে ৯টার মধ্যে পাটুরিয়া ঘাটে এসেছি। পথে কোনো যানজট বা ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠে দৌলতদিয়ায় এসেছি। পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় অপেক্ষা করতে হয়নি। স্বস্তিতেই বাড়িতে পৌঁছাতে পারবো বলে আশা করছি।
পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি মধুখালীতে ঈদ করতে যাচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম নামে সরকারি চাকরিজীবী এক ব্যক্তি। ঘাট এলাকায় কথা হলে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই রুটে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। তাই এই রুট দিয়ে যাতায়াত করতে এখন কোনো ভোগান্তি হয় না। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে ঝামেলা ছাড়াই বাড়িতে যেতে পারব। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ঈদের সময় ২০-৫০ টাকা বেশি নেবে এটাই স্বাভাবিক।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে যাত্রি ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে কোনো প্রকার যানজট বা ভোগান্তি নেই। এই নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।