ট্রলারডুবি
নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫ ১৯:৪৭ পিএম
আপডেট : ০১ জুন ২০২৫ ২০:০৯ পিএম
নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম।
নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম (৩০)। গত শনিবার দুপুরে ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবির পর থেকে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সাইফুলের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় উৎকণ্ঠায় তার পরিবার ও সহকর্মীরা।
নিখোঁজ পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের গোপাল বাড়ির মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুর ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটের পথে যাওয়ার সময় ডুবচরে ট্রলারটি ধাক্কা লেগে উল্টে যায়।
ট্রলারে থাকা জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন, আমরা মালামাল নিয়ে সকালে নোয়াখালী থেকে ভাসানচর যাই। দুপুরে ফেরার পথে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এরপর ট্রলারে পানি ঢুকতে থাকে। হঠাৎ করেই ট্রলারটি উল্টে যায়। করিমবাজার এলাকা থেকে তিনটি ট্রলার গিয়ে মানুষকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন নামে একজনের মরদেহ এবং হাসিনা খাতুন নামে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। ৩৯ জন যাত্রীর মধ্যে সাইফুল ইসলামসহ দুজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ সাইফুলের বোন জান্নাতুল ফেরদাউস স্বপ্না বলেন, ঈদে তার বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু ভাই আমার বাড়ি আসেনি, এখনও কোনো খোঁজও পাইনি।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা রোগী নিয়ে গত ২৭ মে ভাসানচরে এসেছিলেন পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম। আবহাওয়া খারাপ থাকায় তারা ফিরে যেতে পারেননি। রবিবার (১ জুন) আবার রোহিঙ্গা রোগী নিয়ে ফিরে যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ঘটনার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। মেঘনার প্রচণ্ড স্রোত এবং আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধার কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। সাইফুল ইসলামের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তার পোশাক ও আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। আমরা এখনও আশা ছাড়িনি।