ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫ ২২:০৭ পিএম
পাবনার ঈশ্বরদীতে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) খাবার খেয়ে রেনেসাঁ, এ্যাবা, নাকানোসহ পাঁচটি কোম্পানির শতাধিকেরও বেশি শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ শ্রমিকরা সবাই ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ও রোগী ভর্তি ওয়ার্ডে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। জানা গেছে, ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) দুপুরে শ্রমিকদের খাবার সরবরাহ করে। এ খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই শ্রমিকরা অসুস্থ হওয়া শুরু করেন। তাৎক্ষণিক কিছু শ্রমিক ছুটি নিয়ে চলে এলেও পরে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত শতাধিকের বেশি শ্রমিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন।
এ সময় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অনেকেই বাড়ি চলে গেলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে পাবনা ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডে ৩২ জন রোগী ডায়রিয়া, বমি ও পেটব্যথা নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
উপজেলার ভেলুপাড়া এলাকার জহুরুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ‘আমার স্ত্রী ইপিজেড থেকে ডিউটি শেষ করে আসার পর হঠাৎ বমি ও পাতলা পায়খানা করতে থাকে। পরে অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখানে চিকিৎসা নিয়েও কমছে না, এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাব।’
ইপিজেডের স্টিল হেয়ার কোম্পানির শ্রমিক রাবেয়া খাতুন নামে আরেকজন বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) খাবার সময় যে পানি খেয়েছি তাতে একটু দুর্গন্ধ ছিল। সকালে ডিউটি করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসার পর বমি শুরু হয়। দুপুরে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক উম্মে হাবিবা শ্রমিকদের অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সবারই খাদ্যে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানা হয়েছে। বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং আশঙ্ককাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে পাবনা ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে ইপিজেডের কয়েকটি কোম্পানির শ্রমিকদের অসুস্থ হওয়ার খবর জানে না ইপিজেড কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে ইপিজেড বেপজার পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। যে কোম্পানির শ্রমিকরা অসুস্থ হয়েছে, সেই সব কোম্পানির কর্তৃপক্ষকে অসুস্থ শ্রমিকদের দেখভালের ব্যাপারটি বেপজার মাধ্যমে জানানো হয়েছে।’