রংপুর অফিস
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫ ২১:৪২ পিএম
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রংপুরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সমমনা ছাত্র সংগঠনগুলো এবং জাতীয় পার্টি একে অন্যের মুখোমুখি অবস্থান করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর জাতীয় পার্টির হামলার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৩০ মে) বিকালে নগরীর টাউন হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিবাদ কর্মসূচি ডাকলেও তা বৈরী আবহাওয়ার কারণে হয়নি। অন্যদিকে দলের চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়েরসহ সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে জাতীয় পার্টির নেতারা।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় ফুটেজ দেখে থানায় একটি মামলা দায়েরসহ আলোচনা করে দলীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হতে সহযোগিতা করেছে জিএম কাদের। তিনি ভারত থেকে এসে দেশবিরোধী বক্তব্য রেখেছেন। জিএম কাদেরকে রংপুরে ঢুকতে দেওয়া হবে না মর্মে ২৪-এর ফ্যাসিস্টবিরোধী ঐক্য জনতা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিনি রংপুরে আসায় শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। জিএম কাদেরের বাসায় কে বা কারা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে তা আমরা জানি না।’
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি। এ নিয়ে থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা থেকে রংপুর নগরীর নিউ সেনপাড়ার বাসভবন স্কাইভিউতে আসেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। রাত পৌনে ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিএম কাদেরের গ্রেপ্তারের দাবিতে গ্রান্ডহোটেল মোড়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর করে। এ সময় বাড়ির বাগানে থাকা ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে তারা চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা স্কাইভিউতে ছুটে আসেন। রাত ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা নগরীর পায়রা চত্বরে বিক্ষোভ করেন। এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা জাতীয় পার্টি অফিস ও গ্রান্ডহোটেল মোড়ে অবস্থান নেয়।