মৌলভীবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫ ২০:০৭ পিএম
আপডেট : ৩০ মে ২০২৫ ২০:১৬ পিএম
বাবা পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায়। সেই বাবার ছেলে পেল পুলিশের চাকরি। মাত্র ১৩০ টাকা খরচ করে পুলিশের চাকরি পেয়েছেন মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন।
কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও নিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন গোমড়া এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন। তার বাবা রিপন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সদর মডেল থানায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত দেলোয়ার হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই পুলিশ লাইন্সে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ দেখে আসছি। এটাই আমার ইনস্পিরেশন হিসেবে কাজ করেছে। আমার স্বপ্ন ছিল আমিও পুলিশ হব। সে স্বপ্ন পূরণে আমি গত বছর কনস্টেবল পদে চাকরির পরীক্ষা দিই। প্রথমবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও আলহামদুলিল্লাহ এবার নিজের চেষ্টা ও যোগ্যতার মাধ্যমে আজকে চাকরির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছি।
তার বাবা রিপন মিয়া বলেন, থানায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরি করি। একদিন আমার ছেলেও পুলিশ হবে এমন স্বপ্ন দেখতাম। আগে শুনতাম পুলিশের চাকরিতে লাখ লাখ টাকা লাগে। কিন্তু আমার ছেলে প্রমাণ করেছে যোগ্যতা থাকলে টাকায় নয়, মেধায় চাকরি পাওয়া যায়। একমাত্র ১৩০ টাকা খরচে আবেদন করেছিল, এর বাইরে এক টাকাও খরচ হয়নি। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, একদম স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সবাই মেধা ও যোগ্যতায় উত্তীর্ণ। ফলাফল ঘোষণা করার পর সদর মডেল থানার ওসি আমাকে জানায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের মধ্যে রিপনের ছেলেও রয়েছে। শুধু রিপনের ছেলে দেলোয়ার না, চাকরির জন্য নির্বাচিত ১৯ জনের মধ্যে বেশিরভাগই খুবই সাধারণ পরিবারের ছেলেমেয়ে।
উল্লেখ্য, এবারের নিয়োগে মৌলভীবাজার জেলা থেকে ১৯ জন প্রার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত ১৯ জনের মধ্যে উপজাতি কোটায় ১ জন এবং সাধারণ কোটায় ১৮ জন। এদের মধ্যে নারী ৩ জন এবং পুরুষ ১৬ জন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ জনের নাম ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।