চট্টগ্রাম বন্দর
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫ ২২:২১ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত নির্দিষ্ট হারের অতিরিক্ত ৪ গুণ স্টোর রেন্ট বাতিলে দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইম্পোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন এবং চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে ব্যবসায়ীরা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি এহসান এ খান। তিনি বলেন, বন্দর বা আইসিডি থেকে মালামাল খালাসে বন্দর কর্তৃপক্ষ ছাড়াও আরও অন্যান্য এজেন্সির সম্পৃক্ততা থাকে। এ ছাড়া ডকুমেন্টেশন প্রসেসিংয়ে অনেক সময় লেগে যায়। ফলশ্রুতিতে আমদানি পণ্যের চারগুণ বিলম্বের মাশুল আদৌ যৌক্তিক নয়। তাই বিষয়টি চারগুণ স্টোর রেন্ট বা বিলম্ব মাশুলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।
এর আগে গত ১০ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে এবং কমলাপুর আইসিডিতে স্থিত আমদানিকৃত এফসিএল কন্টেইনারের কমন ল্যান্ডিং ডেটের অষ্টম দিন থেকে প্রযোজ্য স্ল্যাবের চারগুণ হারে ‘স্টোর রেন্ট’ আরোপ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল, চট্টগ্রাম গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, পরিচালক মো. আরিফ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মো. কুতুব উদ্দিন, চট্টগ্রাম কাগজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক আহম্মদ সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মোহাম্মদ বেলাল বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা চায় না তাদের পণ্য বন্দরে পড়ে থাকুক। অধিকাংশ সময় আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে পণ্য খালাস আটকে যায়। এখন কাস্টমস কর্মকর্তারা কলম বিরতি পালন করছেন, বিষয়টি তো আমাদের হাতে নাই। এখন শুল্কায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটার জন্য পোর্ট ডেমারেজ দিতে হবে ব্যবসায়ীদের। তাই আমরা চারগুণ স্টোর রেন্ট বাতিল চাই।’