ঝিকরগাছা
বেনাপোল (যশোর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫ ১৬:১৩ পিএম
কাশেম শিকদার ও ইমরান শিকদার। প্রবা ফটো
যশোরের ঝিকরগাছা ও আশপাশের এলাকাজুড়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা কাশেম শিকদার ও তার ছেলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান শিকদারের সন্ত্রাসী বাহিনী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাশেম-ইমরান বাহিনী প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, জমি দখল, ভাড়াটে মস্তানি, ব্যবসায়ী ও প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব অভিযোগ স্থানীয় থানায় জানানো হলেও পুলিশ রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
কাশেম শিকদার নাভারণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য। তার ছেলে ইমরান শিকদার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে পূর্বে পুলিশের ওপর হামলা ও শার্শার দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের তোজাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, গত ১৫ বছর ধরে কাশেম-ইমরান ও তাদের বাহিনী নাভারণ, রঘুনাথপুর ডাঙ্গী, সাতক্ষীরা মোড়সহ আশপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ মানুষ। বহু মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়, বিশেষ করে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর চলে নির্যাতন।
কাশেম-ইমরানের বেপরোয়া নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তারা কিছুদিন আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তারা আবারও এলাকায় ফিরে এসে আগের মতোই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ফলে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
স্থানীয়রা জানান, কাশেম-ইমরান দিনের বেলায় সাতক্ষীরা মোড়ে অবস্থিত সোহাগ পরিবহণের নাভারণ কাউন্টারে অবস্থান করে এবং সন্ধ্যার পর দলবল নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। পুলিশকে বিষয়টি একাধিকবার জানানোর সত্ত্বেও রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে, যা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রঘুনাথপুর বাগ গ্রামের ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম বলেন, বিগত আওয়ামী লীগের আমলে কাশেম বাহিনী অর্থের বিনিময়ে আমার ভিটেবাড়ির তিন শতক জমি দখল করে হায়দার নামের আরেক আওয়ামী লীগ নেতাকে দিয়েছে।
এ বিষয়ে কাশেম শিকদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কাশেম-ইমরানকে গ্রেপ্তার না করার কারণ জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত দুই মাস ধরে পুলিশের কাছে কাশেম-ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।