কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ২০:৪৮ পিএম
আপডেট : ২২ মে ২০২৫ ২০:৫১ পিএম
প্রবা ফটো
কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে তিনটি পরিবারের ১৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশব্যাক ) ভারত। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত তাদের পুশব্যাক করে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাদেরকে ভারতের হরিয়ানা থেকে ধরে চোখ বেঁধে বিমানে করে আগরতলায় আনা হয়। এরপর জোর করে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
তারা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ভোগডাঙ্গার ক্লিনিকপাড়ার মো. জাহিদুল ইসলাম, তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম, তাদের এক শিশু সন্তান; নাগেশ্বরী থানার নাগেশ্বরী গ্রামের মাহাবুবর রহমান, তার স্ত্রী হালিমা খাতুন, তাদের দুই শিশু সন্তান; নওদাপাড়ার শাহজালাল, তার স্ত্রী মাহমুদা ও তাদের চার শিশু সন্তান।
বিজিবি কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন-১০ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী তাদের পুশব্যাকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকের পর তাদেরকে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, জাহিদুলের পরিবার ৬ বছর, মাহাবুবের পরিবার ১১ বছর ও শাহজালালের পরিবার ১২ বছর আগে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। সেখান থেকে তারা হরিয়ানা রাজ্যের শনিপথ এলাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করে। ১০দিন আগে ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স- সিআরপিএফ সদস্যরা তাদের হরিয়ানার শনিপথ এলাকা থেকে আটক করে। আটকের পর স্থানীয় একটি ক্যাম্পে চোখ বেঁধে আটকে রাখা হয়।
চোখ বাঁধা অবস্থায় গতকাল বিমানে করে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে বাংলাদেশের ২০৮০ সীমানা পিলারের ৭০০ গজের মধ্যে বিজিবি সদস্যরা এই ১৩ জনকে আটক করে।
লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন তাদেরকে বিএসএফ ধরে বাংলাদেশে পাঠায়। পরিচয় নিশ্চিতের কার্যক্রম শেষে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, আটকদের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে তাদের উপজেলায় যোগাযোগ করছি। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।