যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ১৯:৫০ পিএম
আপডেট : ২২ মে ২০২৫ ২০:০০ পিএম
অনিয়ম, দুর্নীতি ধরতে যশোরের মনিরামপুরের নেহালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ মল্লিকের বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দুদকের তদন্তকারী দল।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে দুদকের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক আল আমিন হোসেন। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ মল্লিকের গ্রামের বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের গাবরডাঙ্গা গ্রামে।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের আস্থাভাজন হওয়ায় এলাকায় বিষ্ণুপদ মল্লিকের ছিল বেশ আধিপত্য। খাজনা দিতে গেলে তাকে প্রতি শতাংশ জমির জন্য ১০০ টাকা হারে ঘুষ দিতে হতো। দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে মনোহরপুর ইউনিয়নের খাকুন্দি গ্রামের মৃত কিংকর সরকারের একমাত্র মেয়ে জয়ত্রী রানী সরকারের ওয়ারেশ বাদ দিয়ে সুফল নামে এক ব্যক্তির নামে প্রায় দুই বিঘা জমি নামপত্তন করে দেন বিষ্ণুপদ মল্লিক। নেহালপুর ইউনিয়নের বালিধা গ্রামের নুর মোহাম্মদ গাজী পাঁচ শতক জমির ওপর পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দুই ছেলে কামরুজ্জামান ও মঈনুল ইসলামকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বাড়িসহ জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। একপর্যায়ে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়। আদালতের নির্দেশে তাদের দখলস্বত্ব নিয়ে প্রতিবেদন দিতে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিষ্ণুপদ মল্লিককে।
কিন্তু ছোট ভাই মঈনুল ইসলামের অভিযোগ, দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বিষ্ণুপদের বড় ভাই কামরুজ্জামানের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অপরদিকে আলাল উদ্দিন নামে এক ভুক্তভোগীর কাছে জমির নামপত্তনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন বিষ্ণুপদ মল্লিক। ঘুষের টাকা না দেওয়ায় তার নামপত্তন এখনও হয়নি।
দুদক যশোর অফিসের সহকারী পরিচালক আল আমিন হোসেন বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোরের এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা বুধবার (২১ মে) দুপুরে নেহালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযান চালিয়ে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। আরও উপস্থিত ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, তাওহিদুল ইসলাম প্রমুখ।