রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ১৯:৩৫ পিএম
আপডেট : ২২ মে ২০২৫ ১৯:৫৬ পিএম
কোরবানি ঈদ সামনে রেখে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও ট্রাকে করে নির্ধারিত ৩টি ভোগ্যপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছে টিসিবি। তবে প্রতিটি পণ্যের মূল্য ২০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভোক্তারা।
তাদের দাবি, বাজারমূল্যের চেয়ে টিসিবির পণ্যের মূল্যের তারতম্য না থাকলে টিসিবি পণ্য নিম্ন আয়ের মানুষদের কোনো কাজে আসবে না। বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
টিসিবির দেওয়া তথ্যমতে, আগের ৭০ টাকা কেজি দরের চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৮৫ টাকায়, ৬০ টাকার মসুরের ডাল ৮০ টাকায় এবং ১০০ টাকা লিটারের ভোজ্য তেল বিক্রি করা হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে আসা নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার লাকি খাতুন বলেন, দুই কেজি তেলে ৭০ টাকা বেশি লাগছে। বাজার আর টিসিবির মধ্যে দামের পার্থক্য না থাকলে কেন টিসিবির পণ্য নেব। আর তারাইবা কেন বিক্রি করবে।
ষাটোর্ধ্ব হাফিজা খাতুন বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিরর কার্যালয়ে সচিব বলছেন ১ হাজার ৫০০ কার্ডের মধ্যে ৭০০ কার্ড এসেছে। ৮০০ কার্ড আসেনি। কবে আসবে, তা বলতেও পারছেন না তারা। কার্ড না পেয়ে ঠেলাঠেলি করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির মাল নিতে হচ্ছে। আমার বয়স বেশি, কম বয়সিদের মতো ঠেলাঠেলি করতে পারি না। ভয় লাগে কখন পড়ে মরে যাই।
টিসিবির রাজশাহীর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিকুর রহমান জানান, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই ট্রাক সেল কার্যক্রম ৩ জুন পর্যন্ত চলবে। শুক্র ও শনিবারও বিক্রি করা হবে। পর্যায়ক্রমে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ১০টি পয়েন্টে প্রতিদিন চার হাজার পরিবার ন্যায্যমূল্যে টিসিবির এই তিনটি পণ্য ক্রয় করতে পারবে। এ ছাড়া কার্ডধারীদের মাঝে প্রতি মাসে টিসিবি পণ্য বিক্রয় অব্যাহত রয়েছে।