× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোর অর্থনীতি ও পর্যটনে খুলল নতুন দিগন্ত

হাসান লিটন, চরফ্যাশন (ভোলা)

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ১৭:৩২ পিএম

আপডেট : ২২ মে ২০২৫ ১৭:৩৫ পিএম

চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোর অর্থনীতি ও পর্যটনে খুলল নতুন দিগন্ত

উপকূলীয় এলাকা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর, চরকুকরি মুকরি, চরপাতিলা ও চরমন্তাজে যাতায়াতে উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে। এতে ওই অঞ্চলের পর্যটক, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী মানুষের মনেও দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস।

উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া লঞ্চঘাট থেকে প্রতিনিয়ত নৌপথে চারটি রুটে ৯টি লঞ্চ চলাচল করছে। এ ছাড়াও যাত্রী পারাপারের জন্য ১০টি স্পিডবোটের ব্যবস্থাও রয়েছে। এতে চরগুলোর অর্থনীতি ও চরের পর্যটন খাতের দ্রুত বিকাশ লাভ করবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর, চরকুকরি-মুকরি, চরপাতিলা এবং চরমন্তাজসহ চারটি দ্বীপে কয়েক লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। এসব অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ও পণ্য আনা-নেওয়া হয় ট্রলার বা লঞ্চে করে। সেই সুবাদে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চারটি দ্বীপে দৈনিক একটি করে চারটি লঞ্চ তাদের নির্ধারিত সময়ে চলাচল করে আসছে। এতে পর্যটক, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী মানুষ সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারত না। এসব অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে কিছুদিন আগে আরও ৫টি লঞ্চ চালু করেছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে চরকচ্ছপিয়া লঞ্চঘাট থেকে ৯টি লঞ্চ চলাচল করছে।

সম্প্রতি উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরে ছেড়ে যাওয়ার জন্য এমএল ঢালচর নামের এক তলা একটি লঞ্চ এবং চরকুকরি-মুকরিতে ছেড়ে যাওয়ার জন্য এমএল সুফিয়া নামের এক তলা একটি লঞ্চ ঘাটে প্রস্তুত রয়েছে এবং চরপাতিলা ছেড়ে যাওয়ার জন্য এমভি মাসরাহ নামের এক তলা একটি লঞ্চ এবং চরমন্তাজে ছেড়ে যাওয়ার জন্য এমএল নিপু নামের এক তলা একটি লঞ্চঘাটে প্রস্তুত রয়েছে। এসব লঞ্চে যাত্রীরা কেউ উঠছেন আবার কেউ মালামাল ওঠাচ্ছেন।

এ সময় লঞ্চযাত্রী চরকুকরি-মুকরির বাসিন্দা ফয়েজ ও মঞ্জুরুল আলম জানান, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরকুকরি-মুকরি হলো একটি পর্যটন এলাকা। এখানে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর থেকে প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক ঘুরতে আসে। এই দ্বীপে পর্যটক, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী মানুষের যাতায়াতের জন্য দুটি লঞ্চ এবং ৫টি স্পিডবোট ছিল। তাদের নির্ধারিত সময় ছাড়া তারা লঞ্চ ছাড়ত না। এতে যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ত। স্থানীয়দের উদ্যোগে আরও দুটি এক তলা লঞ্চ যুক্ত হয়েছে। এগুলো এক ঘণ্টা পরপর আসা-যাওয়া করে। এতে পর্যটকসহ ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিমুক্ত ও সঠিক সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, কচ্ছপিয়া ও কুকরি-মুকরি ঘাটে পন্টুনের ব্যবস্থা না থাকায় সম্ভাবনাময় এ পর্যটন খাতটিতে ভ্রমণপিপাসুদের বিড়ম্বনা পোহাতে হতো। সরকার কুকরি-মুকরি ও কচ্ছপিয়ায় দুটি পন্টুন বরাদ্দ দিয়েছে। দ্রুতই এর উদ্বোধন করা হবে। এতে পর্যটন খাত ও স্থানীদের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা