চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ১৭:২৮ পিএম
আপডেট : ২২ মে ২০২৫ ১৭:৩৫ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ স্থলবন্দর সড়কটি মাপজোখ শেষে প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ছয় মিটার চওড়া সড়কটি আরও ১০ মিটার প্রশস্ত করা হবে। পুরো সড়কটি চারলেনে উন্নীত করা না হলেও আলাদাভাবে ৩টি জায়গায় ‘চারলেনের মতোই’ সড়ক তৈরি করা হবে। আগামী বছরের জুনে সড়কটির উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার কথা জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
গত বুধবার সকালে দেখা গেছে রানীহাটি বাজার সংলগ্ন এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ সড়কটি প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি খনন করে রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে। শ্রমিকরাও কাজ করছেন। সড়কের দুধারে থাকা জেলা পরিষদ ও বিএমডিএর গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়েছে। সড়কের প্রশস্ত করার কাজ শুরু হওয়া দেখে স্থানীয়রা উচ্ছ্বসিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিল মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ সড়কটি যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণে একনেক সভায় একটি প্রকল্প পাস হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগামী বছরের জুনে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ সড়কটি ২৮ বছরেরও বেশি পুরোনো। ব্যস্ততম সড়কটির গড় প্রস্ত ৬ দশমিক ২ মিটার। এ ছাড়া সড়কের কয়েকটি জায়গায় ভয়ংকর কয়েকটি বাঁক আছে। সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে প্রায় ৩১ দশমিক ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রশস্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে শিবগঞ্জের বহলাবাড়ি ও বেঁকি মোড়ের বাঁক দুটি সরল করা হবে। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে থাকা কালভার্ট প্রশস্তকরণ, ২টি ইন্টারসেকশন ও রিজিড পেভমেন্ট বাস-বে ও ট্রাক লেন নির্মাণ করা হবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে গোটা সড়কটি চারলেনে উন্নীত করা হবে না। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘরিয়া বাজার, রানীহাটি বাজার ও শিবগঞ্জের ছত্রাজিতপুর বাজার সংলগ্ন এলাকাটি চারলেনের মতো করে সড়ক নির্মাণ করা হবে।
২০২২ সালের ২৯ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ সড়কে ট্রাকচাপায় মুনিরা খাতুন নামে এক স্কুলছাত্রী মারা যায়। ওইদিন সড়কটি চারলেনে উন্নীত করার দাবিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা।
ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যসামগ্রী এই সড়ক দিয়ে পাঠানো হয় রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়। এ ছাড়া নিয়মিত হাজার হাজার মানুষ এই সড়কে চলাচল করে। অপ্রশস্ত সড়ক হওয়ায় প্রায় ঘটে দুর্ঘটনা। এসব ঘটনা থেকে মুক্তি পেতেই তাদের দাবি সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হোক।
প্রকৌশলী শাহ্ মো. আসিফ বলেন, ‘সড়কটিতে অনেক মানুষের যাতায়াত করে থাকে। তাদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা এখন মূল সড়কে হাত দেব না। আগে সড়ক চওড়ার কাজ করা হবে। পরে মূল সড়কে হাত দেওয়া হবে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে সড়কে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।’