ইমিগ্রেশন কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫ ২০:০০ পিএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৫ ২০:১৯ পিএম
নিহত পুলিশ কনস্টেবল শামিম রেজা সাজু।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন ভবন থেকে পুলিশ কনস্টেবল শামিম রেজা সাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক মাস পর সাত পুলিশ সহকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার নিহতের বাবা হাসেম আলী ফরাজী মঙ্গলবার (২০ মে) চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা আমলি আদালতে মামলা করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)। বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হাসান লাভলু বলেন, মামলায় দাখিল করা অভিযোগ যথেষ্ট গুরুতর, আদালত তা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা শামিম রেজা সাজু চুয়াডাঙ্গার জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল সকালে নতুন ভবনের দোতলার একটি কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়।
কিন্তু ঘটনার এক মাস পর শামিমের বাবা আদালতে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, তার ছেলে আত্মহত্যা করেননি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত সাতজন হলেনÑ সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ, লাভলুর রহমান, মিঠুন হোসেন, সহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মেহেদী হাসান, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই রমজান আলী এবং কনস্টেবল সোহেল রানা।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, বদলির পর থেকেই শামিম রেজা সহকর্মীদের বৈষম্য, অবমাননাকর আচরণ ও হুমকির শিকার ছিলেন। তাকে মানসিক চাপে রাখা হতো এবং গালাগাল করাসহ খুনের হুমকিও দেওয়া হতো। এসব কারণে শামিম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৭ এপ্রিল রাতে ওই সহকর্মীরা শামিমকে হত্যার হুমকি দিলে বিষয়টি নিজের সহকর্মী ও গ্রামের বাসিন্দা সোহেল রানাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানান। কিন্তু সোহেল তা পরিবারকে না জানিয়ে উল্টো বাকি আসামিদের জানিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা একে অন্যের সহযোগিতায় ওই রাতে কোনো একসময় শামিমকে হত্যা করে তার মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে এবং ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করে।