বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫ ১৮:৪৭ পিএম
বগুড়া থেকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এই খাতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৫২ লাখ ডলারের বেশি। আগের বছরের তুলনায় এই আয় তিন গুণেরও বেশি।
বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে পুরো বছরে পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বগুড়ার প্রতিষ্ঠানগুলো আয় করেছিল ২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। আর ২০২৩ সালে এই আয় ছিল ১ কোটি ৮২ লাখ ডলারের মতো। মাত্র সাড়ে তিন মাসেই আগের বছরের মোট রপ্তানি ছাড়িয়ে যাওয়া এ খাতের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
বিসিসিআই সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে মূলত কাঁচা পাট, বস্তা, দড়ি ও অন্যান্য পাটজাত পণ্য ভারত ও শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি করা হয়। এসব পণ্য রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ হাসান জুট মিলস লিমিটেড, বগুড়া জুট মিলস ও হাসান জুট অ্যান্ড স্পিনিং মিলস।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পণ্যের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। বিদেশি ক্রেতারাও এখন প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্য বেছে নিচ্ছেন।
বগুড়ার কয়েকজন রপ্তানিকারক জানান, বর্তমানে রাইস ব্র্যান অয়েল ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত পানির পাম্পের রপ্তানি কমে গেছে। এর মধ্যে রাইস ব্র্যান অয়েলের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে, আর ভারতীয় বাজারে পাম্পের চাহিদা কমেছে। তবে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল এবং বাড়তির দিকে।
রপ্তানিকারকেরা এখন মূলত বগুড়া চেম্বার থেকে ‘সার্টিফিকেট অব অরিজিন’ সংগ্রহ করে রপ্তানি করছেন। কেউ কেউ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ বা চট্টগ্রামের চেম্বার থেকেও এই সনদ নিচ্ছেন।
বগুড়া চেম্বার মনে করে, পণ্যের গুণগত মান বজায় রেখে এবং উৎপাদকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিলে রপ্তানির এই ধারা আরও বাড়বে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও মনে করছেন, পাটজাত পণ্যের এই উত্থান দীর্ঘস্থায়ী হলে বগুড়া দেশের অন্যতম রপ্তানিকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
বগুড়া চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রপ্তানিতে উৎসাহ দিচ্ছি। পণ্যের মান ধরে রাখতে পারলে বিদেশি বাজারে চাহিদা আরও বাড়বে। চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’