প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫ ১৭:১৪ পিএম
‘আমরা পশু পরিবহন নিয়ে চিন্তিত। আমরা চাই এবার যেন খামারিরা কোরবানির পশু আনতে গিয়ে কোনো প্রকার কষ্ট না পান এবং পশুরাও যেন কোনো কষ্টের শিকার না হয়’- বলে মস্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার (২১ মে) দুুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু বাজার, পরিবহন ও দামে সঠিক বাস্তবায়ন হবে এবার। প্রাণীর প্রতি যেন কোনো নৃশংসতা না হয় এবং কোন ধরনের ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করে প্রাণীকে মোটাতাজা না করা হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘সারা বছর গ্রামের খামারিরা কোরবানির পশু লালন পালন করেন। এবার আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা হলো সরবরাহ ব্যবস্থা, এই যে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় কোরবানির পশু আসবে। সেক্ষেত্রে যেন একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকে। পরিবহনে স্থল, নৌপথ ও ট্রেনেও বিশেষ ব্যবস্থা যেন হয়।’
প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ রয়েছে, আমরা সেটা নিয়েও আলোচনা করেছি। আইন যেন মেনে চলে, কোনো প্রকার নিষ্ঠুরতা না হয় সে বিষয়ে আমরা সচেতনতা তৈরি করবো। কোরবানির পশুতে যাতে কোনো রকম ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে যেন রিষ্ট-পুষ্ট না করা হয়। এ লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে বরেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, পশুর হাটে ভেটেরিনারি ক্লিনিকের সার্জনরা থাকবেন। হাটে তারা স্থায়ীভাবেও থাকবেন এবং মোবাইল ক্লিনিক নিয়ে কাজ করা হবে। এসব সুবিধা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতসহ কোরবানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় গত ২০ মে কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে আছেন ১৭ সদস্য। যার আহ্বায়ক বাণিজ্য উপদেষ্টা। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, শিল্প সচিব, এনজিও প্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বেসরকারি প্রতিনিধি (সরকার মনোনীত)। কমিটিতে সদস্য সচিব, বাণিজ্য সচিব।
কমিটি সঠিকভাবে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং এজন্য পর্যাপ্ত লবণের সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ; চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা এবং কোরবানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন।
এছাড়া এ কমিটি চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান; কোরবানির হাট, পশু পরিবহন এবং পরিবহনের সময় নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের বিষয়ে নির্দেশনা জারি এবং চামড়া শিল্প নগরী, সাভারসহ সারা দেশে দ্রুত ও যথাযথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।