বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫ ২২:৩৯ পিএম
প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে ডন। খামারির ছোট ছেলে তার রঙ, আকার, ওজনের কারণে আদরে নাম দিয়েছে ‘বগুড়ার ডন’। শাহীওয়াল ক্রস জাতের এই গরুটি শুধু ওজনে বা আকারে বড় নয়, স্বভাবেও খুবই শান্ত ও নম্র। এর আকৃতি, স্বভাব ও পরিচর্যার ধরনে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা প্রতিদিন ছুটে আসছেন খামারে। ইতোমধ্যেই অনেকে গরুটি কিনতে আগ্রহও প্রকাশ করেছেন।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের দোগাড়িয়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুল তার খামারে দীর্ঘ দুই বছর ধরে সন্তানের মতো যত্নে লালন-পালন করেছেন গরুটিকে। ‘বগুড়ার ডন’ নামটিও দিয়েছেন তার ছোট ছেলে। বর্তমানে গরুটির ওজন প্রায় ১১০০ কেজি, যা প্রায় ১ টনেরও বেশি। গরুটি লম্বায়, প্রস্থে ও উচ্চতায় যে কারো দৃষ্টি কেড়ে নেবে। এই গরুটির দাম হেঁকেছেন ১৫ লাখ টাকা, তবে ১২ লাখ টাকায় রাজি আছেন বিক্রিতে। শিমুলের মতে, এটি হবে এবারের জেলার সবচেয়ে দামি ও আকর্ষণীয় গরু।
গরুটি মোটাতাজাকরণে ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। খড়, ধানের গুঁড়া, ভুসি, ভাত ও পানি খাইয়েই বড় করা হয়েছে। প্রতিদিন গরুটির খাবারের পেছনে খরচ হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। শান্ত স্বভাবের কারণে গরুটিকে লালন-পালনও ছিল সহজ। এই কারণেই খামারি শিমুল জানিয়েছেন, তিনি গরুটিকে কখনও পণ্য নয় বরং সন্তানের মতোই আদরে বড় করেছেন।
রবিউল ইসলাম শিমুলের খামারে এখন রয়েছে আরও ১৪টি দেশি ও শাহীওয়াল জাতের বড় গরু। সেগুলোর প্রতিটির জন্যই রয়েছে আলাদা যত্ন ও পরিচর্যা। তবে ‘বগুড়ার ডন’ যেন আলাদা এক অনুভব।
খামারি শিমুল বলেন, দুই বছর আগে রাজশাহী থেকে আড়াই লাখ টাকায় গরুটিকে কিনেছিলাম। তখন থেকেই এটিকে প্রাকৃতিক খাবারে বড় করায় এখন গরুটি দেখে সবাই মুগ্ধ।
তিনি আরও জানান, কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসায় ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। এ ছাড়া খামারের অন্য গরুগুলোও বিক্রিতে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো দামের আশা করছেন তিনি।