নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫ ২০:৩৯ পিএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৫ ২০:৫০ পিএম
অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক ট্রাস্টি খন্দকার মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন ‘বই পড়লে মন ভালো থাকে, উৎফুল্ল লাগে, মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। যে বই আমাদের স্বপ্ন জোগায়, সেই বই আমাদের পড়া উচিত।’
শুক্রবার (১৬ মে) বরিশাল নগরীর ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসবের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা বই পড়াকে দায়িত্ব মনে না করে, আনন্দ মনে করবে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে দেশব্যাপী তোমাদের আনন্দ দেওয়ার জন্যই এই বইপড়া আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।’
পুরস্কার বিতরণ উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনÑ বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) সোহরাব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসাইন, বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার হারুনুর রশীদ, ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাব্রিয়েল গাইন, গ্রামীণফোন লিমিটেডের বরিশাল সার্কেল হেড সানুয়ার হোসেন ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।
এ সময় পুরস্কার বিতরণ উৎসবে বরিশাল মহানগরীর ৩৬টি স্কুলের পুরস্কার বিজয়ী ২ হাজার ৪১১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৬টি স্কুলের ২ হাজার ৪১১ জন সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে এবং ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্কুলের শিক্ষকরা পুরস্কার গ্রহণ করেন। মোট ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২২১২ ছাত্রী ও ৭৬১ ছাত্রসহ মোট ২ হাজার ৯৭৩ শিক্ষার্থী পুরস্কার গ্রহণ করে। তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ১২৪৭ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১১৬৬ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৪৮৪ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৭৬ জন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘তোমার একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রসহ অন্য ভালো বইগুলো পড়বে।’ আগামীর বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য বইপড়া খুবই দরকার বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘মানুষকে সব সৃষ্টির চেয়ে আলাদা বা শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে তার জ্ঞানের জন্য, কিন্তু বই না পড়লে জ্ঞান সমৃদ্ধ হয় না।’ বরিশালের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ পুরস্কারপ্রাপ্ত সব শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেন এবং অভিনন্দন জানান।