খাগড়াছড়ি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫ ২০:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৫ ২০:৪৭ পিএম
খাগড়াছড়িতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে জেলা শহরের অফিসার্স ক্লাব অডিটোরিয়ামে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান ও শ্রেষ্ঠ প্রজেক্ট তৈরির স্টলদের পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার।
তিন দিনব্যাপী মেলায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। তাদের তৈরি প্রজেক্ট প্রদর্শন করা হয়। এতে প্রদর্শিত প্রজেক্টগুলো ছিলÑ অর্থনৈতিক উন্নয়নে টিস্যু কালচার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, কৃষি বিদ্যুৎ,ল্যান্ড, এয়ার পলিউশন, উন্নত গ্রামীণ জীবনযাত্রা, স্বপ্নের দীঘিনালা, পলিমেট হাউজ, বন্যা প্রতিরোধী ভাসমান খাদ্য গুদাম, নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে পরিবেশ বাঁচাও, গ্রাম বাঁচাই, স্মার্ট গার্ডিয়ান্স, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন দূষিত বায়ু পরিশোধন, দূষিত বায়ু পরিশোধনকারী অঞ্চলে উন্নত সংস্করণ, ভূমিকম্প সহনশীল স্থাপনা, সেফটি রোড, এসো গ্রাম উন্নত করি, ইকো-ফ্রেন্ডলি খাগড়াছড়ি, রিসাইক্লিং ফ্যাক্টরি, স্বপ্নের বাংলাদেশ, তৃষ্ণার্ত রাস্তা, পরিকল্পিত কৃষি ব্যবস্থা, প্লাস্টিক বর্জ্যের পুনঃব্যবস্থাপনাসহ নানান ধরনের প্রজেক্ট। এসব মডেল শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতাই নয়, ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা সমাধানের চিন্তাভাবনার প্রমাণও দেয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে টিকে থাকতে হলে আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চার অলিম্পিয়াড নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা ও সেমিনারের মাধ্যমে যে আগ্রহ সৃষ্টি হলো, আমি মনে করি এটি তাদের দীর্ঘদিনের চর্চার মাধ্যমে বাস্তবতায় পরিণত করতে পেরেছে।’