× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বৈধ ইলিশ জব্দ করে আত্মসাতের অভিযোগ

তালতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫ ১৮:২৫ পিএম

আপডেট : ১৬ মে ২০২৫ ১৮:৩৬ পিএম

বৈধ ইলিশ জব্দ করে আত্মসাতের অভিযোগ

বরগুনার আমতলী উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসানের বিরুদ্ধে পায়রা নদীর ইলিশ মাছ জব্দ করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ী ও তালতলী জেলে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম মাতব্বর।

এর আগে গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমতলী বটতলা বাসস্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মৎস্য আড়তদাররা সরকারি বিধি অনুযায়ী বৈধ কাগজপত্র নিয়ে মাছ আহরণ ও ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু বুধবার রাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ছাড়াই অভিযান পরিচালনা করে পায়রা নদীর ৮০ কেজি বৈধ ইলিশ মাছ জব্দ করেন। পরে জব্দকৃত মাছের সামান্য একটি অংশ বিতরণ করে বাকি মাছ আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী সহকারী কমিশনারের পক্ষ নিয়ে আড়তদার জসিমউদ্দিনের ওপর হামলা চালায় ও পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। 

মাছ আড়তদার জসিমউদ্দিন বলেন, ‘গাড়ি থেকে পায়রা নদীর আহরণকৃত বড় সাইজের ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখি মৎস্য ভবনের ভেতরে অনেক মাছ মজুদ রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তা ভিডিও করলে এসিল্যান্ডের লোক পরিচয় দিয়ে আমাকে মারধর শুরু করে এবং আমার কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আমি এদের কাউকে চিনি না।’

তালতলী জেলে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম মাতব্বর বলেন, ‘পয়রা নদী থেকে আহরণকৃত বড় সাইজের ইলিশ মাছ জব্দ করে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই‌।’

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাশ বলেন, ‘উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হাসান উপস্থিত থেকে জব্দকৃত মাছ ৩৭টি এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। এ বিষয়ে এসিল্যান্ড বিস্তারিত বলতে পারবেন।’ 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান বলেন, ‘আইন মেনে অভিযান চালানো হয়েছে। সমুদ্রের মাছ হিসেবে বড় ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। সেটা মৎস্য কর্মকর্তা চিহ্নিত করেছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মিথ্যা। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই মিজান ও ইসলাম নামের দুটি পরিবহন গাড়ির সুপারভাইজারের স্বীকারোক্তি মতে তিন হাজার টাকা করে ছয় হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। সাগরের মাছ জব্দ করা হয়েছে এবং নদীর মাছ গাড়িতে রেখে দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত সাগরের মাছ ৩৭টি এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে।’

বরগুনা জেলা প্রশাসক সফিউল আলম বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। তবে এখন সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলে, মাছ শিকার করা অপরাধ।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মারুফ কামাল খান

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা