অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫ ১৬:১৮ পিএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৫ ১৬:২৬ পিএম
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত কর্ণফুলী স্টেডিয়াম ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে এখন ক্ষোভ আর হতাশা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্টিত এই স্টেডিয়াম ঘেঁষেই প্রবাহিত খরস্রোতা কর্ণফুলী নদী, যেখানে প্রতিদিন স্থানীয় মানুষসহ দূরদূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা নির্মল বাতাস নিতে ছুটে আসেন।
তবে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে এক ভিন্ন বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছেন সবাইÑ প্রবেশপথের পাশে স্তূপ হয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে বের হওয়া দুর্গন্ধে নাক চেপে ঢুকতে হচ্ছে তাদের।
স্টেডিয়ামের চারপাশে যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনার দৃশ্য যেন সৌন্দর্যকে পরিণত করেছে বিবর্ণ এক চিত্রে। নদীর পাড়ে বসার ব্যবস্থা থাকলেও, দুর্গন্ধে সে আনন্দ উপভোগ করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ময়লার ভাগাড় পড়ে থাকলেও এগুলো দায়িত্বশীলদের নজরে পড়ছে না। নাকি দেখেও না দেখার ভান করে আছে, এমন প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। এ ছাড়া স্টেডিয়ামটি এখন গবাদিপশুর চারণভূমিতেও পরিণত হয়েছে।
কর্ণফুলী স্টেডিয়ামে ঘুরতে আসা শাকিলা বেগমসহ কয়েকজন জানান, আমরা স্টেডিয়ামটির সৌন্দর্যের গল্প শুনে এখানে এসেছি। নদীর পাশে স্টেডিয়ামটি অনেক মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে নদীর পাশে বসে সময় কাটানো ও নির্মল বাতাস পাওয়া যায়। কিন্তু ঢুকতেই ময়লার স্তূপ আর দুর্গন্ধে মন খারাপ হয়ে গেল।
প্রতিদিনই এই স্টেডিয়ামে স্থানীয় কিশোর-যুবকরা খেলাধুলা করতে আসে। কিন্তু ময়লা--আবর্জনার দুর্গন্ধে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় এই মাঠে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন খেলাধুলা, কুচকাওয়াজসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এই বিশাল স্টেডিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এভাবে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ আকারে পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কারও নজরে আসছে না। বিষয়টি দুঃখজনক বলে স্থানীয় সচেতন মহল মন্তব্য করেছে।
খেলতে আসা কিশোর-যুবকরা জানান, প্রায়ই ফুটবল গিয়ে পড়ে ময়লার ভাগাড়ে, সেখান থেকে তুলে আনতে হয়। দুর্গন্ধে খেলার পরিবেশটাই থাকে না। এগুলোর সংস্কার হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এই স্টেডিয়ামটি বর্তমানে জাতীয় অনুষ্ঠান ব্যতীত ব্যবহৃত হয় না। এখানকার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো জনবল নেই। কিছুদিন আগে খাদ্য উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষে কিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করা হয়েছিল। তবে আগামী অ্যাডহক কমিটির সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।