ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫ ২১:২২ পিএম
দীর্ঘ এক যুগ পর ৩১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ফেনী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে জেলার শিক্ষক সমাজে বইছে ভোটের হাওয়া। নির্বাচনে মোট ৬৫টি পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৩৩ জন শিক্ষক।
যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন দুটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের ১৩০ জন প্রার্থী এবং তিনটি পদে এককভাবে অংশ নিচ্ছেন তিনজন। এবারের নির্বাচনে অবসরপ্রাপ্ত ও প্রয়াত শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধ এবং শিক্ষকদের কল্যাণ নিশ্চিত করাই হয়ে উঠেছে প্রধান আলোচ্য বিষয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জেলা শিক্ষক সমিতির বর্তমান অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ফাজিলপুর ডব্লিউ বি কাদরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া এবং সদস্য সচিব ফকিরহাট আবু বকর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাং আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। অন্যদিকে মধুয়াই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এটিএম সামছুল হক চৌধুরী ও বক্তারমুন্সী মোয়াজ্জেম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত আরও একটি প্যানেলও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এ ছাড়া সভাপতি পদে একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সামছুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন ভূইয়া, ক্রীড়া সম্পাদক পদে রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমির হোসেন এবং অর্থ সম্পাদক পদে মঙ্গলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রহিম উল্লাহ।
শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শিমুল কান্তি মহাজনকে রিটার্নিং অফিসার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে ৪৩৬ জন ভোটার রয়েছে।
অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক সভাপতি প্রার্থী মো. হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, এ দিনটির জন্য আমাদের এক যুগের অপেক্ষা। আমরা প্রথমে নির্বাচনের আয়োজন করতে চেয়েছি, এখন ভালো লাগছে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
একই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাং আলমগীর চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষকরা অবসরকালীন সুবিধা পাননি। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
অপর প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মধুয়াই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এটিএম সামছুল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় অনেক কাজ থেমে ছিল। আমরা সবাই মিলে শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নুরুল আলম বলেন, অবসরপ্রাপ্তরা কল্যাণ তহবিল থেকে কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। আমরা সেই তহবিলকে সচল করে সকল সুবিধা নিশ্চিত করব।
সভাপতি পদে একক প্রার্থী জামাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটাই প্রত্যাশা। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের পর শিক্ষকরা ভোট দিতে পারছেন, এটা বড় পরিবর্তন।