কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫ ২১:১০ পিএম
আপডেট : ১৪ মে ২০২৫ ২১:২৩ পিএম
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় যৌতুকের দাবিতে মারধরে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করায় তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মারধর করে হত্যা করা হয়েছে।
পরে এ ঘটনা আত্মহত্যা বলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বুধবার (১৪ মে) ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজারঘোনা এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
নিহত লুলুয়ান মরজান হিরা উপজেলার হ্নীলার পূর্ব সিকদারপাড়ার মাস্টার মীর কাশেমের মেয়ে। নিহতের মেঝ বোন আফরোজা আক্তার জানান, হ্নীলার মৌলভীবাজারের রোজারঘোনা এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে আব্বাস উদ্দিনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারপাড়ার মাস্টার মীর কাশেমের মেয়ে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে পরিবারের অজান্তে এ বছরের ১৯ জানুয়ারি তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্ত্রীর কাছে যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে আব্বাস। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়।
এর জেরে গত মঙ্গলবার রাতেই স্বামী আব্বাস মরজানকে মারধর করেন। এতে তিনি মারা যান। তিনি বলেন, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে নির্যাতন ও মারধর করে মরজানকে হত্যা করেছে। এখন তারা বাঁচার জন্য আত্মহত্যা করেছে বলে গুজব ছড়াচ্ছে। এ ঘটনায় মামলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
মরজানের দুলাভাই নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার গভীর রাতে আব্বাসের বড় ভাই আমাকে ফোন দেয়। সে জানায় আমার শ্যালিকা আত্মহত্যা করেছে। এরপর বুধবার (গতকাল) ভোরে নিহতের শ্বশুরবাড়ি থেকে মরজানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার ভোরে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এরপর শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইরি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’