মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫ ২১:০৩ পিএম
কুমিল্লার মুরাদনগরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
বুধবার (১৪ মে) বিকালে উপজেলার রোয়াচালা গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকশ মানুষ শ্রীকাইল-নবীপুর সড়কের ধনপতিখোলায় মানববন্ধনে অংশ নেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে কালারাইয়া লাডুম শাহ মাজারের খাদেম কাউছার মোল্লা মোবাইল ফোনে কল করে সাদ্দাম হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কাউছার মোল্লার নেতৃত্বে চুরির অভিযোগে সাদ্দামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত সাদ্দাম ১ নম্বর শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামের ইরন মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৭ নম্বর বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কালারাইয়া গ্রামের মোস্তফা (৪৩), সেলিম (২৮) ও রাব্বি আহমেদকে (২১) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে বাঙ্গরা থানা পুলিশ।
মানববন্ধনে গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কাউছার মোল্লা শুক্রবার রাতে সাদ্দামকে ফোন করে ডেকে নেন। পরে চোর বলে মব সৃষ্টি করে গাছের সঙ্গে বেঁধে কালারাইয়া গ্রামের সেলিম, মোস্তফা, রাব্বিসহ আরও কয়েকজন মিলে সাদ্দামকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মানববন্ধনে নিহতের বাবা-মা ও স্ত্রী সন্তানেরা দাবি করেন, সাদ্দামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে চোর বলে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়ে দেন।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাদ্দাম চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জের মসলা দোকানে শ্রমিকের কাজ করতেন। চট্টগ্রাম থেকে মা-বাবাকে দেখতে মেয়েকে নিয়ে ৩ মে গ্রামের বাড়ি রোয়াচালা যান। তিনি ৯ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে রোয়াচালা বাজারের উদ্দেশে বেরিয়ে যান। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরদিন সকালে তার পরিবার জানতে পারে পাশের গ্রাম কালারাইয়া সেলিম মিয়ার বাড়িতে গাছের সঙ্গে বেঁধে চুরির মিথ্যা অভিযোগ সাদ্দামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইরন মিয়া বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, সাদ্দাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহারভুক্ত তিনজনকে গ্রপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি রাব্বি আদালতে ১৬৪ ধায়ায় জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যার মূল কারণ উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।