কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫ ২০:৫২ পিএম
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে দুই মেয়েকে কুপিয়ে ও আছাড় দিয়ে গুরুতর জখম করার পর অভিযুক্ত নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ৯টার দিকে শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেঘলা খাতুন (২২) হরিশংকরপুর এলাকার মামুনের স্ত্রী। অভিযুক্ত মামুন ও তার দুই মেয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মামুন ওই এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় রঙমিস্ত্রি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মামুনের স্ত্রী মেঘলার সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিছুদিন আগে ওই যুবকের সঙ্গে মেঘলা ঢাকায়ও চলে গিয়েছিল। কিছুদিন ঢাকায় থেকে মেঘলা আবারও স্বামীর বাড়ি ফিরে আসে। এর জেরে দুজনের মধ্যে কলহ চলছিল। গত মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মামুন মেঘলাকে বটি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে দুই শিশু মেয়ে কুলসুম ও জান্নাতকে মাটিতে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে নিজের হাতে থাকা বটি দিয়ে মামুন নিজের ঘাড়ে ও গলায় কুপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাদের চারজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় মেঘলাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মামুনের মা সুফিয়া বেগম জানান, তিনি বড় নাতনিকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ছোট দুই নাতনি বাড়িতেই ছিল। রাতে বাড়িতে ফিরে এসে তিনি এই হৃদয়বিদারক অবস্থা দেখতে পান।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, দাম্পত্যকলহের জেরে স্বামী স্ত্রীকে হত্যা এবং দুই কন্যাশিশুকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে ওই যুবক নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।