লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫ ১৭:০৭ পিএম
দুই বছরেও নির্মাণ হয়নি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নে ডলু খালের পাড়ে ভেঙে যাওয়া সড়কটি। ফলে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সড়কটি পুনর্নির্মাণ না হলে এই বছর ভারী বর্ষণে প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসী।
কেননা, কয়েকদিন ভারী বর্ষণ হলে এই খালের পানি দ্রুত বেড়ে যায়। বর্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে খালের পাড় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।
এই সড়ক ভেঙে যাওয়ায় দুই বছর ধরে যাতায়াত বন্ধ। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতেও বিকল্প পথ হিসেবে দূরের আরেকটি সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
গত সোমবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, আধুনগর ইউনিয়নের সরদানী পাড়ার শেষপ্রান্তে গারাঙ্গিয়া-রশিদিয়া সড়কে দুবছর আগে ডলু খালের পানি বাড়ায় ভেঙে যাওয়া সড়কের কাজ এখনও শুরু হয়নি।
ভেঙে যাওয়া সড়কের পাশেই বাস করে আটটি পরিবার। তারা আতঙ্কে রয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৩ একর জায়গাজুড়ে স্থানীয় কৃষকেরা বোরো-আমন ধানের চাষ করেছেন। ভারী বর্ষণ হলেই খালের পানি কৃষিজমিতে ঢুকে সব ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
তিন বছর ধরে ভাঙন দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আদৌ এই সড়ক পুনরায় নির্মাণ হবে কি না তা নিয়ে স্থানীয়রা চিন্তিত।
পাশাপাশি আরও বলেন, এটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি নির্মাণ না করায় অনেক ভোগান্তি যাচ্ছে আমাদের ওপর দিয়ে। এই সড়ক না থাকায় ৫ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে।
গত বছর ভাঙনের পর কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত এতটুকুও কাজ হয়নি। কাজ করার জন্য কিছু সরঞ্জাম আনা হলেও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লোক এসে নিয়ে গেছে।
এই সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় ২ বছর ধরে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা ইউএনও ইনামুল হাসান বলেন, ‘গত সমন্বয়ক সভায় ওই সড়কের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কাজের প্রস্তাবনা পাঠাতে বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এটির কাজ শুরু হবে।’
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সরঞ্জাম নিয়ে আসার ব্যাপারে আমি জানি না। আমি এসেছি ২ মাস হয়েছে। এটা এখনও ডিসির প্রস্তাবনায় রয়েছে। পাস হয়ে আসেনি। আর আমি ওই সড়কে যাইনি।’