প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫ ১৫:২১ পিএম
রাজধানীর কুড়িল এলাকার কুড়াতলী কাঁচা বাজারে সম্প্রতি সবজি, মাছ ও মাংসের দামে কিছুটা পতন দেখা গেলেও বিক্রিতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি।
বুধবার (৭ মে) সকালে বাজারে সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচা বাজারে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। তারপরও ক্রেতা বাড়েনি। বরং বিক্রিও কমে গেছে।
এক বিক্রেতা বলেন, ‘আগে সকালে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি হলেও আজ মাত্র ১ হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়েছে।’
মুরগি ও মাংসের বাজারে মিশ্র প্রভাব রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৯৫-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৮০-১৮৫ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ৩১০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে বিক্রি হয়েছিল ৩০০ টাকা দরে।
খাসির মাংস বিক্রেতা মোহাম্মদ ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘ঈদে সময় মাংস বিক্রি করেছি ১ হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে। এখন বিক্রি করছি ১১৫০ টাকায়। দাম কমলেও আগের মতো কাস্টমার নেই। বেতন বাড়েনি, বাজারমূল্য বেড়ে গেছে। তাই মানুষ কম কিনছে।’
মাছের বাজারে তুলনামূলকভাবে বড় ধস দেখা গেছে। বিক্রেতা সোহেল জানান, তেলাপিয়া আগে ছিল ২৪০-২৬০ টাকা। তবে এখন বিক্রি করছি ২০০-২২০ টাকায়। পাঙ্গাস ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। এখন ১৬০-১৮০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছের দামও প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা কমেছে।
সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। সবজি বিক্রেতা আলামীন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এখন সবজির দাম কিছুটা কম, তাই বিক্রিও বেড়েছে। আগে যেখানে ১০-১৫ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতাম। এখন তা বেড়ে ২০-২৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে বেগুন ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, লাউ (প্রতি পিস) ৫০ টাকা (আগে ছিল ৮০ টাকা), করলা ৬০ টাকা (কমেছে ২০ টাকা), পটল ৬০ টাকা (কমেছে ২০ টাকা), শিম ৭০ টাকা (কমেছে ১০ টাকা), আলু (দেশি লাল) ৩০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা (আগে ছিল ১০০ টাকা), মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকায় (কমেছে ১০ টাকা) বিক্রি হচ্ছে।
সবজি আরও সস্তা হবে কিনা জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, এখন অফসিজন চলছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের আশা, দাম আরও সহনীয় হলে বাজারে প্রাণ ফিরে আসবে।