কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১০ পিএম
প্রবা ফটো
টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দারা। এছাড়া কুতুবদিয়া-মগনামা ঘাটে ফেরি চালুর দাবিও জানান তারা।
ভয়াল ২৯ এপ্রিলের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কুতুবদিয়া সমিতি ও কুতুবদিয়া টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরি বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এর আগে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে শোক র্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে কুতুবদিয়াবাসীর দুর্ভোগ লাগবে টেকসই বেড়িবাঁধ চেয়ে নিজের লেখা ও সুর করা শাহীন আবরার প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন। এসময় সবাই এক বাক্যে উচ্চারণ করেন- ‘হোক প্রতিবাদ মুক্তি চাই, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই’।
কুতুবদিয়া টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক সাংবাদিক এহসান আল কুতুবী বলেন, ‘আমরা কুতুবদিয়া ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না। আমরা কুতুবদিয়ার খেটে খাওয়া, অবহেলিত, বঞ্চিত, লবণচাষী, মৎস্যজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ কুতুবদিয়াতেই থাকতে চাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের আবেদন- হয় কুতুবদিয়াকে ভেঙে সাগরের মিশিয়ে দেন, নাহয় টেকসই বেড়িবাঁধ দেন। আমাদের সঙ্গে প্রতিবছর বেড়িবাঁধের নামে নাটক আর করবেন না। আমরা এই নাটক আর দেখতে চাই না। বারবার বরাদ্দ এবং সেখান থেকে তথাকথিত নেতাদের লুটপাট আমরা আর দেখতে চাই না। আমরা টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।’
কুতুবদিয়া সমিতির সভাপতি প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের তিনটি দাবি রয়েছে। দাবিগুলো হলো, কুতুবদিয়ার চারিদিকে স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, কুতুবদিয়া থেকে মগনামা পারাপারের জন্য ফেরি চালু করা এবং শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের স্থায়ী পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন কুতুবদিয়া সমিতি কক্সবাজারের সদস্য সচিব আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ, বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদ উদ্দীন ছোটন, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আক্তার কামাল আজাদ, জেলা যুবদল নেতা দিদারুল ইসলাম রুবেল, এজাবত উল্লাহ কুতুবী, কুতুবদিয়া টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক এহসান আল কুতুবী।
এসময় টেকসই বেড়িবাঁধের জন্য দ্রুত জরুরি উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি দাবি জানান বক্তারা।