চালু হলো আধুনিক সি-ট্রাক

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল আধুনিক সি-ট্রাক ‘এসটি ভাষা শহীদ জব্বার’। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টায় কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এই সি-ট্রাকের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনের পর সি-ট্রাকটি সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে মহেশখালীর উদ্দেশে রওনা হয় এবং দুপুর ১২টার দিকে দ্বীপে পৌঁছে। দ্বীপে পৌঁছার সময় বিপুল সংখ্যক স্থানীয় মানুষ ও শিক্ষার্থী জেটিঘাটে ভিড় করে। অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ছাত্র-জনতা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ড. সলিমুল্লাহ খান। তিনি সি-ট্রাকের ভাড়া সাধ্যের মধ্যে রাখার পাশাপাশি আরও একটি ট্রাক চালুর দাবি জানান।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, গত ৪০-৫০ বছর এখানে মাফিয়া চক্র কাজ করেছে। এই চক্রের কারণে ৮ মাস লাগল সি-ট্রাক আনতে। মামলার কারণে ড্রেজিং করা যায়নি ৬ নম্বর জেটিঘাট এলাকায়। ভবিষ্যতে আরও একটি সি-ট্রাক হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত ভাড়া ৫০ টাকা থেকে কমিয়ে এখন ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে (৬ নম্বর জেটিঘাট হতে) এবং নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে ভাড়া হবে ৩০ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই ৫ টাকা ঘাট টোল যুক্ত হবে।

উল্লেখ্য, ২৫০ জন যাত্রী ধারণক্ষম সি-ট্রাকটি প্রতিদিন তিনবার করে যাতায়াত করবে। কক্সবাজার থেকে ছাড়বে সকাল সাড়ে ৮টা, দুপুর ১২টা ও সন্ধ্যা ৬টায়; মহেশখালী থেকে ছেড়ে আসবে সকাল সাড়ে ৭টা, বেলা ১১টা ও বিকাল ৫টায়।

নৌপরিবহন উপদেষ্টার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নৌপথে মহেশখালী দ্বীপের ৪ লাখ বাসিন্দা ও পর্যটকদের ভোগান্তি অনেকটাই নিরসন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই আধুনিক সি-ট্রাক চালুর মাধ্যমে দ্বীপবাসীর বহু বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এবং এটি স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্যও নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত যাতায়াত নিশ্চিত করবে।