খাগড়াছড়ি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০৯ পিএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১২ পিএম
অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী। ফাইল ফটো
খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণের আটদিন পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চবি শাখার সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগ ও একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্ৰীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো।
পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির খবর পেয়েছি। তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ইউপিডিএফকে দায়ী করছেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা।
যদিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইউপিডিএফের অন্যতম জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
অপহৃতদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিপন ত্রিপুরা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে দফায় দফায় মুক্তি দিয়েছে ইউপিডিএফ। তারা পাঁচজনকে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ছেড়ে দিয়েছে। কোন কোন জায়গা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাৎক্ষণিক আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।
এছাড়া পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক রিবেক চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- পিসিপি চবির শাখা সদস্য রিশন চাকমা ও তার চার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরাকে ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পিসিপি।
অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে আজ ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমাকে ফোন দেওয়া হলে তার ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বর্ষবরণের বিঝু উৎসব শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একজন গাড়ি চালককেও তুলে নেওয়া হয়েছিল। তবে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তখন মুক্তি মেলেনি পাঁচ শিক্ষার্থীর। আটদিন পর তাদের মুক্তির খবর পাওয়া গেল।