মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১০ পিএম
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৪৪ পিএম
প্রবা ফটো
রংপুরের মিঠাপুকুরে বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। রাস্তা বন্ধ করার পর অভিযুক্তরা রাস্তাটিতে আমের গাছ রোপন করেছেন। রাস্তা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই শিক্ষার্থীসহ পরিবারটি।
উপজেলার ১০ নম্বর বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের মরাহাটি সংলগ্ন বুজরুক সন্তোষপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় একমাসের অধিক সময় ধরে রাস্তাটি বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মরাহাটি বাজার সংলগ্ন বুজরুক সন্তোষপুর গ্রামের আবু ফরহাত মিয়া এবং জিনাত রেহেনা দম্পতি একই মৌজায় ২০১২ সালে ৭.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর আধাপাকা টিনসেডের বাড়ি নির্মাণ করে প্রায় ১ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন।
ঘটনার দিন গত (২ মার্চ) বুজরুক সন্তোষপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, জাকারুল ইসলাম, পূর্ব শত্রুতার জেরে ফরহাত মিয়ার বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি তাদের নিজেদের দাবি করে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
অভিযুক্তরা এমনভাবে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় যাতে ভুক্তভোগীরা বাড়ি থেকে বের হতে এবং বাইরে থেকে বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলীকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বাঁশের বেড়াটি সরিয়ে দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পরক্ষণেই রাস্তাটি আবারো বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী।
ভুক্তভোগী রেহেনা জিনাত বলেন, ‘মহিদুল আমাদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে চার লক্ষ টাকা চাচ্ছে। আমার স্বামী একজন পোল্ট্রি খামারের সাধারণ কর্মচারী। কিভাবে আমরা এই টাকা দেব। আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই।’
অভিযুক্ত মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মানবিক কারণে আমরা তাদের হাঁটার জায়গা দিয়েছিলাম। আমাদের দুই শতাংশ জায়গা পতিত পড়েছিল। আমরা এখনো তাকে রাস্তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। তবে তার যেটুকু রাস্তা প্রয়োজন সেটুকু ক্রয় করতে হবে।’
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কাগজপত্রসহ উভয়কে থানায় ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেনি।’