× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অরক্ষিত রেল ক্রসিং যেন মরণফাঁদ

আতিফ রাসেল, (ভূঞাপুর) টাঙ্গাইল

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১৩ পিএম

আন্তঃনগর ট্রেন পার হওয়ার অপেক্ষায় এক মোটরসাইকেল চালক। টাঙ্গাইলের হাতিয়া এলাকা থেকে তোলা ছবি। প্রবা ফটো

আন্তঃনগর ট্রেন পার হওয়ার অপেক্ষায় এক মোটরসাইকেল চালক। টাঙ্গাইলের হাতিয়া এলাকা থেকে তোলা ছবি। প্রবা ফটো

টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে হাতিয়া রেল ক্রসিংয়ে দেখা যায়, একটি আন্তঃনগর ট্রেন পার হওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন এক মোটরসাইকেল চালক। অরক্ষিত এ রেল ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান বা নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

টাঙ্গাইলের বিভিন্ন রেল ক্রসিং এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। নেই গেটম্যান, নেই সিগন্যাল ব্যবস্থা। এসব অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। পথচারী ও যানবাহন চালকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ জনবল সংকটের কথা বলে দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করছে।

যমুনা পূর্ব রেলস্টেশন থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ও ভূঞাপুর রেলস্টেশন থেকে জামালপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অধিকাংশ রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই। ট্রেনের হুইসেল বাজলেও গেট বন্ধ হয় না। সতর্কীকরণ সিগন্যাল নেই। এমনকি নেই স্বয়ংক্রিয় ব্যারিয়ার, সংকেত বাতি বা সতর্কীকরণ সাইরেন। কিছু রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান থাকলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই, যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে পথচারী ও যানবাহন চালকদের জীবন নির্ভর করছে শুধু তাদের নিজেদের সচেতনতার ওপর ভর করে।

অপেক্ষারত মোটরসাইকেল চালক রশিদ শেখ বলেন, ‘ট্রেন আসার হুইসেল বুঝতে পারলাম। তাই ট্রেন যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় আছি। এখানে কোনো গেটম্যান ও সিগন্যালের ব্যবস্থা নেই। অনেকবারই অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। ট্রেন কখন আসে, বোঝার উপায় থাকে না। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আরও অনেক প্রাণহানি ঘটবে।’

ফলদা গ্রামের মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। এখানে ট্রেনের গতিবেগ অনেক বেশি, কিন্তু কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। গেটম্যান না থাকায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা কামাল শেখ বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন আতঙ্কের মধ্যে পথ চলি। গেটম্যান না থাকায় কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায় না।’

টেপাকান্দির একাধিক বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে মাঝেমধ্যে বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে, তাতে প্রাণহানি হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।’

অটোরিকশাচালক রুবেল মিয়া বলেন, ‘ট্রেন আসার সময় অনেকেই বুঝতে পারে না। যদি গেট থাকত, তাহলে এত দুর্ঘটনা হতো না।’ গত কয়েক মাসে এসব রেল ক্রসিংয়ে একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে।

ইব্রাহিমাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার শাহিন মিয়া বলেন, ‘জনবল সংকটের ফলে প্রতিটি রেলগেটে লোক দেওয়া যাচ্ছে না। তবে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা