কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫২ পিএম
সৈকতে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন পর্যটকরা। প্রবা ফটো
পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা এখন হাজারো পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) বিকাল থেকে সৈকতে এ সকল পর্যটকের আগমন ঘটে।
আগত পর্যটকরা রোদের উত্তাপের সঙ্গে সৈকতে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন। অনেকে সমুদ্রের নোনা জলে ডুব সাঁতারে হই হুল্লোরে মেতেছেন। কেউ কেউ আবার প্রিয়জনকে নিয়ে সেলফি তুলে স্মৃতির পাতায় রেখে দিচ্ছেন। অনেকে সৈকতের বিভিন্ন বাহনে চরে একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে দেখছেন। কেউ বা আবার বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের তীরে আছরে পড়া ঢেউ উপভোগ করছেন। সৈকতে বিরাজ করছে ঈদ উৎসবের আমেজ।
এদিকে গঙ্গামতি, লেম্বুর বন, ঝাউবন, ফাতরারবন ও শুটকি পল্লীসহ সকল পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যটকদের ব্যাপক উপস্থিতি। আগতদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বুকিং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।
সৈকতের ছাতা বেঞ্চি ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, ঈদের ৯ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটক আসছে। সকল ব্যবসায়ীর মুখে হাসি ফুটেছে।
কুয়াকাটা গেস্ট হাউজের মালিক আব্দুল মোতালেব শরীফ জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ বছর পর্যটন মৌসুমে এখানে তেমন পর্যটক আসেনি। পর্যটনের সকল ব্যবসায়ী লোকসানে ছিল। আজকে ভাল পর্যটক আসছে। আরও আসবে বলে মনে হচ্ছে। আমার হোটেলের ৮০ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক অনন্যা আহমেদ বলেন, আমি পরিবার নিয়ে আর কুয়াকাটা আসিনি, এবার এসে ভালোই লাগল। এখানকার পরিবেশ, লোকজনের আথিতেয়তায় আমরা মুগ্ধ। তবে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত এ মহাসড়কটি ফোর-লেন হলে আরওৎ পর্যটক বাড়বে।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পট গুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ট্যুরিস্ট পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ বছর লম্বা ছুটির কারণে ব্যাপক পর্যটকের আগমনে আমরা তাদের নিরাপত্তা জোরদার করেছি। মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ ও কুয়াকাটা পৌর সভা পর্যটকদের সেবায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।