রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৫ ১৩:৩৭ পিএম
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রামগঞ্জে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ। মাওলানা ইসহাক (রা.) অনুসারী হিসেবে ৪৮ বছর ধরে এ নিয়ম পালন করে আসছেন তারা।
রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টায় রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় প্রধান জামাত ও সকাল ১০টায় নোয়াগাঁও তালিমুল কুরআন মাদ্রাসায় বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এসব গ্রামের মুসল্লিরা নিজেদের ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এছাড়া উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব তালিমুল কুরআন নূরানী মাদরাসা ঈদগাহ সহ রামগঞ্জের ৪টি ও রায়পুর উপজেলার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারোঘরিয়া, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করে আসছেন। এছাড়াও শাহরাস্তি উপজেলার মানুষ নোয়াগাঁও ঈদগাঁও এসে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
দক্ষিণ পূর্ব তালিমুল কুরআন মাদরাসা ঈদগাহের খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী। প্রত্যেকটি মাজহাবে একসঙ্গে সারা বিশ্বে ঈদের জামায়াত আদায় করার ফতোয়া রয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। আগে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ছিল না। এজন্য মানুষ সৌদি আরবের একদিন পর ঈদ করতো। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত। এতে আমাদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।’