ইউসুফ আহমেদ, লালমোহন (ভোলা)
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৫ ১৪:১৩ পিএম
লালমোহন পৌর শহরের দত্তপাড়া সড়কের টপটেন টেইলার্সের কারখানায় পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। প্রবা ফটো
ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঈদ কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায়। ভোলার লালমোহন উপজেলার দর্জির দোকানগুলোর কারিগররা সবাই ব্যস্ত। কেউ সেলাই, কেউ বোতাম লাগানোয়, কেউ কাপড় কাটায়, আবার কেউবা ইস্ত্রি করে অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি জামা-কাপড় সাজিয়ে রাখছেন। যেন কারোই দম ফেলানোর সময় নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে ভোররাত পর্যন্ত দর্জিপাড়ায় চলছে কাজ। দর্জিপাড়ার এমন চিত্র দেখলে মনে হবে এ যেন সুঁই-সুতার বিরামহীন যুদ্ধ। এ ব্যস্ততা থাকবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত।
সরেজমিনে পৌর শহরের কয়েকটি দর্জির দোকান ঘুরে দেখা যায়, মানুষজন ঈদ উপলক্ষে নতুন কাপড় কিনে দর্জির দোকানে ভিড় করছেন। পোশাক তৈরি করতে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দর্জিরা। তাদের লক্ষ্য কেবল অর্ডার অনুযায়ী পোশাক তৈরি করে হস্তান্তরের। তাইতো ক্লান্তি উপক্ষো করে নিজেদের কাজে মনোযোগী। আর পুরুষের চেয়ে নারীদের পোশাক তৈরির অর্ডার সবচেয়ে বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দর্জির দোকানে প্রতি পিস প্যান্ট ৪৫০-৫০০ টাকা, শার্ট ৩৫০-৪০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৪০০-৪৫০ টাকা, পায়জামা ২৫০-৩৫০ টাকা, লেহেঙ্গা ৭০০-৮০০ টাকা, থ্রিপিস প্রকারভেদে ২৫০-৬০০ টাকা, প্রকারভেদে স্যালোয়ার-কামিজ ৩৫০-৯০০ টাকা, ব্লাউজ ও পেটিকোট ১৫০- ২০০ টাকা, বাচ্চাদের পোশাক সেট অনুযায়ী ৫০০-৬০০ টাকা মজুরি নেওয়া হচ্ছে।
পৌর শহরের দত্তপাড়া সড়কের টপটেন টেইলার্সের মাস্টার ইমাম হোসেন জানান, প্রায় ৪ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। এ বছর ঈদ উপলক্ষে হাতে মোটামুটি ভালোই কাজ রয়েছে। যার জন্য সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে হয়। দৈনিক ৮০০- ১০০০ টাকার মতো আয় হয়। এই আয় দিয়েই চলে সংসার। তবে বছরের অন্যান্য সময় কাজ তুলনামূলক কম থাকে। তখন দৈনিক গড়ে ৫০০ টাকা আয় হয়।
লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য থানা পুলিশের কয়েকটি টিম নিয়মিত কাজ করছে। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছি। এরপরও যদি কোথায়ও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের জানানোর জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে।