প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৫ ১৯:১৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হলো। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে, এ জনপদের ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে প্রাণ ও প্রকৃতিতে নেমে এসেছে চরম অস্বস্তি।
চুয়াডাঙ্গায় আজ সকাল থেকে রোদের তীব্র প্রখরতায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়েছে। অসহনীয় তাপপ্রবাহের মধ্যে খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁরা অল্পতেই অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন রোজাদারেরা ও খেটে খাওয়া মানুষেরা।
চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন এমন মনে হচ্ছে যে তাপের সঙ্গে বাতাসে আগুনের হল্কা বয়ে যাচ্ছে। তাহলে আর কয়েক দিন গেলে কী অবস্থা হবে। প্রায় ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম নয়। রোজার শেষের এই দু–এক দিন খুব কষ্ট হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট মোড় এলাকার এক ইজিবাইকচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এমনিতে ছুটির দিন, তার ওপর প্রচণ্ড গরম। রাস্তায় একেবারেই লোকজন নেই। ঈদ হলেও ভাড়া কম।
আরেকজন ইজিবাইকচালক রফিক আলী বলেন, ‘সন্ধ্যার পর একটু ভাড়া হচ্ছে। আজ দেখা যাক কী হয়। ঈদ হলেও গরমে দিনে বাজারঘাট ফাঁকা।’
ভ্যানচালক আব্দুল করিম বলেন, ‘বাপু কিচ্ছু করার নেই। রোদ-গরম সহ্য করতি হবি। না হলি খাবো কী। তাও যদি ভাড়া হইত।’
বড় বাজারের ফল ব্যবসায়ী করন হোসেন বলেন, গরম বাতাসে কোথাও স্বস্তি নেই। রাস্তাঘাট উত্তপ্ত হয়ে আছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, জেলায় সর্বোচ্চ তামপাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও কম; মাত্র ১৮ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রা আগামী কিছু দিনে আরও বাড়তে পারে।