শ্যামনগরে ৯টি চোরাই মটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা আবু বক্কর সিদ্দিকসহ সক্রিয় চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নয়টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। 

আটক ব্যক্তিরা হলেন, শ্যামনগর পৌরসভার চিংড়াখালী গ্রামের আরশাদ আলী গাজীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫), শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর সোরা গ্রামের ছাকাত গাজীর ছেলে শাহাজাহান গাজী (৩৫), একই ইউনিয়নের গবুরা গ্রামের ইউনুস আলী গাজীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু (৩৫), আব্দুল গফুর গাজীর ছেলে আতিকুর রহমান সাজু (৩৮), ও কালীগঞ্জ উপজেলার কাঁকশিয়ালী গ্রামের মৃত হাসান গাজীর ছেলে সালাউদ্দিন গাজী (৩৮)।

শ্যামনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় একাধিক চুরি, অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে। আসামি সালাউদ্দিন গাজীর বিরুদ্ধে ১৫টি, আবু বক্কর সিদ্দিক গাজীর বিরুদ্ধে ২৭টি, মোস্তাফিজুর রহমান নান্নুর বিরুদ্ধে ৩টি, আতিকুর রহমান সাজুর বিরুদ্ধে ৩টি এবং শাহাজাহান গাজীর বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। 

থানা সূত্রে আরও জানা গেছে, শাহাজাহান গাজী আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যু। তাদের কাছ থেকে মোট নয়টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা ৯টি মোটরসাইকেলের মধ্য থেকে তিনটির মালিক পাওয়া গেছে এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

গাড়ি ফেরত পাওয়া মালিকরা হলেন, চুনকুড়ি গ্রামের হরিদাস মন্ডল, নকিপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন ও যতিন্দ্রনগর গ্রামের শাহিনুর রহমান বাবু।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, শাহিনুর ইসলাম বাবু নামের একজনের মোটরসাইকেল চুরি হলে তিনি শ্যামনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার ভিত্তিতে মোটরসাইকেল উদ্ধার ও আসামি আটকের চেষ্টা করি এবং আসামি সালাউদ্দিন গাজীকে চোরাই গাড়িসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা একে অপরের জড়িত থাকার তথ্য স্বীকার করেন। এবং তাদের কাছ থেকে নয়টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে তিন মোটরসাইকেলের মালিককে পাওয়া গেছে, তারা বাদী হয়ে মামলা করেন। বাকি মোটরসাইকেলগুলোর জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।