ভাঙচুর ও টাকা লুটে জড়িত দুই সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

পিরোজপুরে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে হামলা, ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের সদর রোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবাহান। গ্রেপ্তার হওয়া মুসাব্বির মাহমুদ সানি পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর মাছিমপুর গ্রামের কিছলুর ছেলে ও মিলন শিকদার পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর নামাজপুর গ্রামের লিটন শিকদারের ছেলে।

সানি পিরোজপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি। স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার দুপুরের দিকে সমন্বয়ক সানির নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল পিরোজপুর পৌরসভার কাছে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের সাইটে হামলা করে। এ সময় তারা সেখানের স্টাফ ও কর্মচারীদের থাকার ঘরে ভাঙচুর চালায় এবং অফিস কক্ষে রাখা ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নেয়। এ ছাড়া সেখানে থাকা সিসিটিভি ও হার্ডডিক্স ভেঙে ফেলে রাখে বলে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। এর আগেও সানি তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা দাবি করেছেন।

এদিকে মডেল মসজিদের সাইটে হামলার পরপরই পিরোজপুরের বলেশ্বর ব্রিজের টোল সংগ্রহের ঘরেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। ভুক্তভোগী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সানির বিরুদ্ধে ভাঙচুর, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার স্টাফ ও কর্মচারীদের থাকার ঘরে ভাঙচুর চালায় এবং অফিসে রাখা ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা সিসিটিভি ও হার্ডডিক্স ভেঙে ফেলে। এর আগে সানি ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সোবাহান বলেন, ‘মুসাব্বির মাহমুদ সানির বিরুদ্ধে ভাঙচুর, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তাকে আটক করেছি। এ ছাড়া পিরোজপুর বলেশ্বর ব্রিজ টোল প্লাজায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গেও তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি। তদন্তের পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’