কুমিল্লা (দক্ষিণ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৫ ২০:১৫ পিএম
প্রবা ফটো
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আবাসিক শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনা উঠেছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে আবাসিক হোস্টেলের ৫জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (২২ মার্চ) কুমিল্লার টমছমব্রিজ-কোটবাড়ি সড়কের ক্যাম্পাসের অংশ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় অবরোধের পর ইউএনও ও পুলিশের হস্তক্ষেপে ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুইমাস আগে শীতকালীন পিঠা উৎসবকে কেন্দ্র করে আবাসিক হোস্টেলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে বহিরাগত কয়েকজন শিক্ষার্থীর কথাকাটাকাটি হয়। শুক্রবার রাতে হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে গেলে বহিরাগত শিক্ষার্থীরা তাদের দেখে আবার কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বহিরাগতরা হোস্টেলে এসে হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। হামলায় ৫ জন হোস্টেলের শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় একটি চক্র। তারাও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। পরে রাতেই হামলার প্রতিবাদে জড়ো হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিবাদে শনিবার ইনস্টিটিউটের হোস্টেল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসে।
বেলা ১২টার দিকে তারা সড়কে টেবিল রেখে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সড়কে বসে পড়েন। এ সময় দুই পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুই ঘণ্টা বিক্ষোভের পর ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বেলা দুইটার কিছু সময় পর সড়ক থেকে সরে আসেন তারা।
কুমিল্লা পলিটেকনিকেল ইনন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমাদের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এটা পূর্বের সমস্যা নিয়ে হয়েছে। এখানে স্থানীয়রাও ছিল। ভিডিও আছে। আমরা ভিডিও দেখে হোস্টেল সুপারকে মামলার জন্য আদেশ দিয়েছি। যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি বিষয়টি পুলিশ, প্রশাসন ও আমাদের ডিজিকেও জানিয়েছি।’
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে কুমিল্লা পলিটেকনিকেল ইনন্সটিটিউটের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় তারা সড়ক অবরোধ করেছে। আমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গিয়ে তাদের আশ্বাস দিলে তারা সড়ক ছাড়ে। আমরা বলেছি এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ এলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে কেউ এখনও অভিযোগ দেয়নি।’