ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩৪ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩৬ পিএম
ভান্ডারিয়া থানা। ছবি : সংগৃহীত
বিয়ে করতে বাড়ি থেকে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় প্রেমিকা। পরে ওই প্রেমিক তার বন্ধুর কাছে প্রেমিকাকে রেখে কাজী আনতে যান। এ সুযোগে ওই প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান বন্ধু। পরে অপহরণের মামলায় প্রেমিক ও তার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এখন কারাগারে। পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২২ মার্চ) এ ঘটনায় প্রেমিক ও তার বন্ধুকে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রেপ্তাররা হলেন- প্রেমিক মো. হাসান ও তার বন্ধু মো. ইলিয়াস খান। হাসান ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অটোরিকশা চালক মো. হাসানের সঙ্গে একই এলাকার এক কিশোরীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে হাসান ও তার প্রেমিকা পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুসারে সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বন্ধু মো. ইলিয়াস খানের সহায়তায় বাড়ি থেকে পালিয়ে ভান্ডারিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে আসেন তারা। সেখানে হাসান তার বন্ধু ইলিয়াস খানের কাছে প্রেমিকাকে রেখে কাজী আনতে যায়। এ সুযোগে ভুল বুঝিয়ে বন্ধুর প্রেমিকাকে নিয়ে পালায় ইলিয়াস। এরপর হাসান চেষ্টা করলেও প্রেমিকা ও তার বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়। পরে ২১ মার্চ দুপুরে ইলিয়াস ও বন্ধুর প্রেমিকা ভান্ডারিয়া বাজারে আসলে স্বজনদের কাছে ধরা পড়ে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা তাবলীগ জামায়াতে থাকায় এবং মা পর্দানশিন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চৌকিদার মো. জামল আকন বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় অপহরণের মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ হাসান ও ইলিয়াসকে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে।
ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ আনওয়ার জানান, ওই কিশোরীকে অপহরণ করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে মামলায় হাসান ও ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে শনিবার কারাগারে পাঠিয়েছি।