গারো পাহাড়ে বৈদ্যুতিক ফাঁদ দিয়ে বন্য হাতি হত্যা, আটক ১

শেরপুরে ধানক্ষেতে পেতে রাখা বৈদ্যুতিক ফাঁদে দিয়ে একটি বন্য হাতি হত্যা করা করার অভিযোগ উঠেছে। আর হাতিটি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে কৃষক জিয়াউল হককে আটক করেছে বনবিভাগ ও পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় পরিবেশবাদীরা।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ের সমশ্চুরায় এ ঘটনা ঘটে।

মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক জিয়াউল হক নালিতাবাড়ীর সমশ্চুরা গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিন ছেলে। 

বনবিভাগ জানায়, বনবিভাগ ও সরকার বন্য হাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মালিক ও কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে নগদ টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। সম্প্রতি নালিতাবাড়ীর সমশ্চুরার কৃষক জিয়াউল হকও ৪০ হাজার টাকা ভর্তুকি নেন। এর পরও তিনি তার ধানের জমিতে হাতি মারার জন্য জিআই তারের বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। ২০ মার্চ রাতে সমশ্চুরায় ওই বৈদ্যুতিক জিআই তারে জড়িয়ে একটি হাতি মারা যায়।

এর আগে, গত বছরের নভেম্বর মাসে উপজেলার মধুটিলা এলাকায় আরও একটি হাতিকে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে গত দশ বছরে গারো পাহাড়ে ২৭টি হাতির মৃত্যু হলো। এ সময়ে মানুষ ও হাতির দ্বন্দ্বে মারা গেছে ২৫ জন মানুষ।

রিচার্স অ্যান্ড কনজারভেশন অব এলিফ্যান্ট বাংলাদেশের সভাপতি আসিফুজ্জামান পৃথিল বলেন, ওই অঞ্চলগুলো বধ্যভূমি। দখলবাজরা বনের এসব সম্পত্তি নিজেদের কব্জায় নিয়ে হাতিদের জায়গা সংকটে ফেলেছে। হাতি হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আটক করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। এবং বনের জায়গা হতে দখলবাজদের মুক্ত করার দাবিও করছি।

মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই হাতি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জিয়াউলকে আটক করা হয়েছে।