নান্দাইলে ইফতার নিয়ে সংঘর্ষ, বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইফতার অনুষ্ঠান ঘিরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম ওরফে পিকুলকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএনপির দলীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি বহিষ্কারাদেশ প্রকাশ করা হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংঘাত সৃষ্টি ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলার নান্দাইল পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম আজিজুল ইসলাম ওরফে পিকুলকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

অব্যাহিতপ্রাপ্ত এ এফ এম আজিজুল ইসলামের স্থলে নান্দাইল পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ফকিরকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।’

এ বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি নান্দাইল উপজেলা ও পৌর শাখা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। ১০২ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ইয়াসের খান চৌধুরীকে আর পৌর বিএনপির কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় সাবেক পৌর মেয়র এ এফ এম আজিজুল ইসলামকে।

বুধবার নান্দাইল পৌর এলাকার শহীদস্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। একই স্থানে পাল্টা ইফতার মাহফিল আয়োজনের কথা জানায় স্থানীয় বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের একটি পক্ষ। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরের পর থেকে নতুন বাজার এলাকায় দুটি পক্ষই অবস্থান নেয় এবং বিকাল ৪টার পর তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই কলেজ ও আশপাশ এলাকায় ওইদিন রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তবে বৃহস্পতিবারও দিনভর দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা গেছে।

দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আদৌ জানি না, আমি দলে কী বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছি। ত্যাগী নেতাকর্মীরা ওই প্রোগ্রামের আয়োজন করেছিলেন। বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল কমিটিতে রিক্রুট হওয়া নব্য আওয়ামী-বিএনপি। তারা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘দুই গ্রুপের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি। এর পরও তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিষয়টি আমরা আমাদের বিভাগীয় টিমকে জানাই। পরে কেন্দ্রীয় কমিটি পৌর বিএনপির আহ্বায়ককে দলীয় সব পদ থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।’