পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫ ২২:০১ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫ ২২:৩৭ পিএম
পেকুয়া উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক কাটাফাঁড়ি ব্রিজ উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়ক। এটিকে মগনামা ও উজানটিয়া এই দুটি ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক হিসেবে বিচেনা করা হয়। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত বোঝাই করা ট্রাকের ভারে ধসে পড়ে সড়কটি। মগনামা ধারিয়াখালী রূপাই খালের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সড়কটি দেবে গিয়ে পানির তোড়ে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। স্থানীয়দের আশঙ্কা, ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়লে লোকালয় তলিয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে বিপুল লবণের মাঠ। ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়বে শত শত লবণ চাষি।
জানা গেছে, মগনামা কাটাফাঁড়ি উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়কের মগনামার ধারিয়াখালী, রূপাই খাল, সোনালী বাজার স্লুইসগেটসহ চারটি অংশ ধসে গেছে। ধসে যাওয়া অংশের মধ্যে ধারিয়াখালী, রূপাই খাল ও সোনালী বাজার স্লুইসগেট অংশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ দুটি অংশে সড়ক দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে যানবাহন।
উজানটিয়ার বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম মিন্টু বলেন, ‘পেকুয়া কাটাফাঁড়ি ব্রিজ থেকে উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়কে প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ চলাচল করে আসছে। গত বছর ঘূর্ণিঝড়ে এই স্লুইসগেটটি সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল, জেলা পরিষদের জরুরি বাজেটে সংস্কার করা হয়েছে। এরপর উপজেলার বাজেট থেকে সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এই স্লুইসগেটের স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দ্রুত সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
মগনামা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমি চাই আমাদের নেতা আলহাজ সালাউদ্দিন আহমেদের হস্তক্ষেপে এই রাস্তা ও স্লুইসগেটের স্থয়ী সমাধান হবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন বলেন, ‘সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর রূপাই খালের অংশে সড়কটি দেবে যায়। বেশ কয়েকবার মাটি, কঙ্কর দিয়ে ভাঙা অংশ সংস্কার করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ভেঙে গিয়ে সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে নিদারুণ কষ্টে পড়ে দুই ইউনিয়নের মানুষ। দুপুরে ট্রাকের ভারে সড়কটি ফের দেবে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’ মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, ‘সড়ক দেবে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচল থমকে গেছে। বিশেষ করে উজানটিয়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি।’
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘পেকুয়া কাটাফাঁড়ি সড়কের ভাঙা মেরামতের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছি। বর্তমানে সরেজমিনে ঠিকাদার রয়েছেন।’