নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫ ১৯:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫ ২২:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার দিবাগত রাতে গোপন বৈঠক করার সময় সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকা থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির ছয় জন এবং ময়মনসিংহ থেকে আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্বার জুনুনী (৪৮), মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার চর আলগী এলাকার আতিকুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৪), আসমত উল্লাহ (৪০) ও মো. হাসান (৪৩), সলিমুল্লাহর স্ত্রী আসমাউল হোসনা (২৩) ও আরাকান রাজ্যের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর, শাহিনা আক্তার (২২) ও ১৭ বছর বয়সী কিশোরী। তাদের মধ্যে মনিরুজ্জামান সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী এলাকায় ভাড়া থাকতেন। আর সলিমুল্লাহ, শাহিনা ও ১৭ বছর বয়সী কিশোরী কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকতেন।
তাদের মধ্যে আতাউল্লাহ আবু আম্বার জুনুনী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির প্রধান বলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। আতাউল্লাহ আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে খুনের নির্দেশদাতা ছিলেন বলে আদালতের জবানবন্দিতে জানিয়েছেন এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা (স্কোয়াড্রন লিডার) রিজওয়ান রুশদী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম।
র্যাব জানায়, নাশকতার উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। তাদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, ধারালো স্টিলের মোটা চেইন ও চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে র্যাবের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
ওসি শাহিনুর আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। আজ দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এএইচএম সাজ্জাদ হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আরসা প্রধানসহ ছয় জনকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অপরাধে দুটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে হাজির করা হয়। বাকি তিন নারী সদস্য ও এক শিশুকে একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’