টাঙ্গাইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫ ১৩:১৬ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫ ১৩:৫৭ পিএম
প্রবা ফটো
অবশেষে উদ্বোধন করা হয়েছে যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত যমুনা রেল সেতুর। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা রেল সেতু পূর্ব প্রান্তের ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন থেকে ফলক উন্মোচন, ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম ফাহিমুল ইসলাম সেতুটির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী ট্রেনটিতে দুই পাশে ২টি লোকোমেটিভ ইঞ্জিল, ৬টি কোচের মধ্যে ২টি এসি চেয়ার, ১টি শোভন কোচ, ১টি ডাইনিং কার, ১টি পাওয়ার কার ছিল।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সেতু উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. সাইদা শিনিচি, দক্ষিণ এশিয়া বিভাগ (জাইয়া) মহাপরিচালক মি. ইতো তেরুয়ুকি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান।
উদ্বোধন শেষে হুইসেল বাজিয়ে অতিথি, যাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বেলা ১২টা ৬ মিনিটে উদ্বোধনী ট্রেন যাত্রা শুরু করে রেলসেতুর ওপর দিয়ে। ট্রেনটি সেতু পাড় হয়ে সিরাজগঞ্জ অংশে পশ্চিম প্রান্তের সায়দাবাদ রেল স্টেশনে বেলা ১২টা ১৯ মিনিটের দিকে। সেখানে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনের আগে ১২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী থেকে সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে যমুনা রেল সেতু পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর সময় একটি ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সেতুটি অতিক্রম করেছিল। এতে সেতুটি পারি হতে সময় লেগেছিলো প্রায় সাড়ে ৩ মিনিট।
সেতুটি ৫০টি পিলার এবং ৪৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত। নতুন রেলওয়ে সেতুটি যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে অবস্থিত। দেশের দীর্ঘতম ও আধুনিক এই সেতুর ওপর দিয়ে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারবে। ১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রায় ৩৮টি ট্রেন প্রতিদিন তুলনামূলকভাবে ধীর গতিতে যাতায়াত করে।