বকেয়া বেতনের দাবি
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৭ পিএম
প্রবা ফটো
তিন মাসের বকয়ো বেতন এবং বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড (খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান) কারখানার শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কের হোতাপাড়া এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে করে তারা।
তিন শিফটে ওইকারখানায় প্রায় ৪৫০ জন শ্রমিক কাজ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আন্দালন চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চালক, যাত্রী ও স্থানীয়দের চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদেরকে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানা অভ্যন্তরে অবস্থান নেয়। পরে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দালনরত শ্রমিকেরা বলেন, প্রতি বছরই ঈদ এলে মালিক ও কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন বোনাস নিয়ে এরকম টালাবাহান করে থাকে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আসন্ন ঈদ বোনাসও দেয়নি। বিভিন্ন সময় বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসসহ সকল পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিলেও কর্তৃপক্ষ টালাবাহানা করছে। থানা, শিল্প পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা মহাসড়ক থেকে সরে এসেছি। তারা আমাদেরকে বলেছে আজকে বিকালের মধ্যে বোনাসসহ আমাদের সকল পাওনা পরিশোধ করবে। এ মুহুর্তে সকল শ্রমিক কারখানা অভ্যন্তরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করছি। বোনাসসহ বকেয়া পাওনা না দিলে আমরা কারখানা থেকে যাব না।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, মার্চ মাসসহ দুই মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাস বকেয়া রয়েছে। সড়ক অবোধের খবর পেয়ে থানা, শিল্প পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদেরকে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানা অভ্যন্তরে অবস্থান নিয়েছে। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করছেন। চেষ্টা করা হচ্ছে যেন আজকের মধ্যেই শ্রমিকদের বোনাসসহ সকল বকেয়া যাওনা পরিশোধ করা হয়।
ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড (খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান) কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা মুকিত হোসাইন বলেন, ‘শ্রমিকদের দাবি সঠিক নয়। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। ইতোমধ্যে গতকাল বিকাল থেকে বেতন দেওয়া শুরু হয়েছিল। রাত হয়ে যাওয়ায় এবং টাকার অঙ্ক বড় হওয়ায় কিছু শ্রমিকের বেতন বাকি ছিল। ব্যাংক থেকে টাকা আনার পর বেতন দেওয়া শুরু হবে।’