মাদারীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৫:১১ পিএম
মাদারীপুর সদর মডেল থানা। ছবি : সংগৃহীত
মাদারীপুরে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই নির্মাণশ্রমিককে পিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রীকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) ভোরে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা হাসানপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিন খাঁ ও দিঘলিয়া এলাকার রুবেল মিয়া।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে সদর উপজেলার পশ্চিম রঘুরামপুর গ্রামের গোলাম রহমান ফকিরের বাড়িতে নির্মাণের কাজে আসেন কয়েকজন শ্রমিক। শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে দেন তারা। এ খাবার খেয়ে বাড়ির লোকজন অচেতন ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সুযোগে রবিবার ভোরে ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। এদিকে সেহরি শেষে নামাজ পড়তে বের হয়ে প্রতিবেশীরা গোলাম রহমানের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। এতে সন্দেহ হলে তারা ঘরের ভেতরে ঢুকে মালিক ও তার স্ত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বাড়িতে কাজ করতে আসা নির্মাণশ্রমিকদের না দেখতে পেয়ে সবাই তাদের খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের তল্লাশি করেন এলাকাবাসী। পরে ইজিবাইকে থাকা অবস্থায় ধাওয়া দিয়ে পাশের হাজমকান্দি এলাকায় ছদ্মবেশী নির্মাণশ্রমিকদের থামান স্থানীয়রা। এ সময় তাদের গণপিটুনি দেওয়া হয়। আটক করা হয় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা হাসানপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিন খাঁ ও দিঘলিয়া এলাকার রুবেল মিয়াকে। তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করেছে পুলিশ। পরে গণপিটুনির শিকার আহত দুজন, বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রীকে ভর্তি করা হয় জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে।
গোলাম রহমান ফকিরের মেয়ে তানিয়া আফরোজ বলেন, ‘এ নির্মাণশ্রমিকরা মুখোশধারী ডাকাত। এদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।
মাদারীপুর জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ভোরে গণপিটুনিতে আহত দুজনসহ চারজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান জানান, লুট হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আটক দুজন পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘটনাস্থল থেকে ইরান নামে আরও একজন পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।