শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫ ১২:৪৯ পিএম
সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধা শুকুরুন নেছার পাশে ছেলে রফিকুল। প্রবা ফটো
সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া সেই বৃদ্ধা শুকুরুন নেছাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ছেলে রফিকুল ইসলাম। শনিবার (১৫ মার্চ) শ্যামনগর থানা থেকে মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন রফিকুল।
এর আগে গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বাদুড়ঝুলি খালের পাশে গাছের ডাল থেকে ওই বৃদ্ধা নারীকে উদ্ধার করে লোকালয়ে নিয়ে আসেন শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের দুই জেলে।
বৃদ্ধার ছেলের রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মা কিছুটা মানসিক ভারসম্যহীন। এর আগেও কয়েকবার তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন। একবার এক বছর পর মাকে খুঁজে পেয়েছিলাম। আমি আমার মায়ের একমাত্র সন্তান। আমাদের গ্রামের বাড়ি খুলনার তেরখাদায়। আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন। আমার মা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়াতে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে বাবার চাকরি চলে যায়। এরপর মা আমার সঙ্গে যশোরের মনিরামপুরে থাকা শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, এক মাস ১০ দিন আগে তিনি যশোরের মনিরামপুর থেকে গ্রামের বাড়ি খুলনার তেরখাদায় পারিবারিক একটি কাজে গিয়েছিলেন। ওই সময় তার মাও গ্রামের বাড়িতে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন, কিন্তু নেননি। রফিকুল বলেন, ‘এর এক দিন পর আমার স্ত্রী খবর দেয়, মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর মাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে দিয়েও মায়ের সন্ধান মেলেনি।’
বড় বড় নদী পার হয়ে কিভাবে গহীন সুন্দরবনে পোঁছালো, সেখানে কতদিন ছিলেন, কি খেলেন আপনার মা এমন প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল ইসলাম বলেন, মা এসব কিছুই বলতে পারছে না।
বড় বড় নদী পার হয়ে তার মা কীভাবে গহিন সুন্দরবনে পৌঁছালেন, সেখানে কত দিন ছিলেন, কী খেলেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মা এসব কিছুই বলতে পারছেন না।’
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া ওই বৃদ্ধা নারীকে তার ছেলের রফিকুল ইসলাম শ্যামনগর থানা থেকে তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন।