× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কৃষকের পানি চা-বাগানে চাষাবাদে দুর্ভোগ

ওবাইদুল আকবর রুবেল, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৩ এএম

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বারোমাসিয়া খালের গতি পরিবর্তন করে একাধিক পাম্প বসিয়ে পানি উত্তোলন করছে হালদা ভ্যালি চা-বাগান কর্তৃপক্ষ। প্রবা ফটো

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বারোমাসিয়া খালের গতি পরিবর্তন করে একাধিক পাম্প বসিয়ে পানি উত্তোলন করছে হালদা ভ্যালি চা-বাগান কর্তৃপক্ষ। প্রবা ফটো

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বারোমাসিয়া খালের গতি পরিবর্তন করে অবৈধভাবে পানি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে শিল্পপতি নাদের খানের মালিকানাধীন হালদা ভ্যালি চা-বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পক্ষান্তরে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসিয়ে একতরফা পানি উত্তোলন না করতে বাগান কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা মানছে না। এদিকে পানি না পেয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার কৃষক। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন বলছে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রান্তিক কৃষকদের চাষাবাদের সুবিধার্থে ১৯৮০ সালে উপজেলার নারায়ণহাট ইদিলপুর এলাকায় একটি মাঝারি ধরনের স্লুইসগেট স্থাপন করে সরকার। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে এটি ব্যবহার করে শত শত কৃষক চাহিদামতো বোরো চাষবাদ করেন। কিন্তু প্রতিবছরই বাগান কর্তৃপক্ষের স্বোচ্ছাচারিতার কারণে কৃষকরা চাহিদামতো চাষাবাদ করতে পারেন না। ফলে তাদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ইদিলপুর স্লুইসগেটের ওপরে বারোমাসিয়া খালের গতিপথ পরিবর্তন এবং খালের বিভিন্ন স্থানে ৬টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসিয়ে পানি উত্তোলন করছে চা-বাগান কর্তৃপক্ষ। সেসব স্থানের বাসিন্দারা বলেছেন বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু বলা বা এখানে থাকা কোনোভাবেই কারও সম্ভব নয়। 

স্থানীয় কৃষক মো. মুছা বলেন, ‘ধান রোপণের শুরুতে পানি পেলেও মাঝামাঝি সময়ে এসে খালে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না। হালদা ভ্যালি চা-বাগান খালের বেশিরভাগ পানি অবৈধভাবে উত্তোলন করে নেওয়ায় চরমভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছি। ন্যায্য পানি না পেয়ে শত শত একর জমির চাষাবাদ নষ্ট হচ্ছে। এই মুহূর্তে পানির ব্যবস্থা না হলে কৃষকেরা চরমভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে।’

বারোমাসিয়া পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফজলুল করিম বলেন, ‘এলাকার শত কৃষক পানির জন্য কষ্ট পাচ্ছেন, এটি ভাবতেই কষ্ট হয়। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষকে কিছু বলতে পারি না। কৃষকেরা বোরোতে স্বপ্ন বোনেন। দেশের চাহিদা মেটাতে তারা দিনরাত পরিশ্রম করেন। এভাবে হলে আমরা কীভাবে বাঁচব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হালদা ভ্যালি চা-বাগানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. মহসিনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

পাউবো চট্টগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহাগ তালুকদার বলেন, ‘বাগান কর্তৃপক্ষের এভাবে একতরফাভাবে পানি উত্তোলন করা অপরাধ। তাদের আমরা সময় বেঁধে দিয়েছি। না মানলে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘পাউবো তাদের নোটিস দিয়ে সময় বেঁধে দিয়েছেন। আশা করব বাগান কর্তৃপক্ষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। তার ব্যত্যয় হলে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা